ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইরিশদের বিরুদ্ধে দুর্বার বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২০ মে ২০১৭

আইরিশদের বিরুদ্ধে দুর্বার বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরু থেকেই যেন ভাগ্যটা সহায়ক হয়নি সফরকারী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। উদ্বোধনী ম্যাচেই নিষেধাজ্ঞার খড়গে অনুপস্থিত ছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেই ম্যাচে বৃষ্টির কারণে কোন ফলাফলই হয়নি শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটিং ছিল অগোছালো, তাই বড় সংগ্রহ হয়নিÑ ফলশ্রুতিতে হারতে হয়েছিল। তবে শুক্রবার ম্যালাহাইডে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠল পুরো বাংলাদেশ দল। বোলারদের বিধ্বংসী মনোভাবের সঙ্গে ফিল্ডাররাও হয়ে উঠলেন দুরন্ত। পুরনো ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হয়ে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান নিলেন ৪ উইকেট। আর এতেই কোণঠাসা আইরিশদের ইনিংস ৪৬.৩ ওভারে মাত্র ১৮১ রানে গুটিয়ে যায়। ডাবলিনের ম্যালাহাইডে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বেশ সমস্যায় পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এবার তাই টস জিতেই স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম ওভারেই দারুণ বোলিং করে মেডেন দিয়ে শুরু করেন পেসার রুবেল হোসেন। পরের ওভারে এসেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। ফিরিয়ে দেন পল স্টার্লিংকে (০)। তখনও আইরিশরা কোন রান করতে পারেনি। এড জয়েস ও অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড দেখে শুনে খেলতে শুরু করেন। তবে অষ্টম ওভারে মাশরাফির বলে শর্ট এক্সট্রা কাভারে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন পোর্টারফিল্ড, সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু পরের ওভারে মোসাদ্দেক নিজের প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ লুফে ফিরিয়ে দেন আইরিশ অধিনায়ককে (২২)। পরবর্তীতে মুস্তাফিজের বলে মোসাদ্দেক কেভিন ও’ব্রায়েনেরও দুর্দান্ত একটি ক্যাচ লুফে পুষিয়ে দিয়েছেন। একপ্রান্তে জয়েস একাই লড়ছিলেন। চতুর্থ উইকেটে তাকে বেশ ভালই সঙ্গ দিয়েছেন নিয়াল ও’ব্রায়েন। যদিও নিজের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ০ রানেই একটি জীবন পেয়েছিলেন তিনি। ১৫তম ওভারে সাকিব আল হাসানের করা শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু মুশফিকুর রহীম সেটা গ্লাভসবন্দী করতে ব্যর্থ হন। ফলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ওঠে। ফিরতি স্পেলে এসে নিয়ালকে (৩০) সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর থেকে মুস্তাফিজ দাপটে দিশেহারা হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। অফকাটার, সেøায়ারে তিনি টতস্থ রেখেছিলেন আইরিশ ব্যাটসম্যানদের। তার সঙ্গে যোগ দেন সাকিব ও অভিষেক হওয়া স্পিনার সানজামুল ইসলামও। ফলে বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে যে প্রাথমিক ভুলভ্রান্তি হয়েছিল সেটাও কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৭৪ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা জয়েসকে সাজঘরে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার করেন সানজামুল। পরে তিনি ব্যারি ম্যাকার্থিকেও (১২) এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন। শেষদিকে জর্জ ডকরেল ৫০ বলে ২৫ রান করে আইরিশদের আরও বাজে পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়েছেন। তবু ২১ বল বাকি থাকতেই আয়ারল্যান্ডের ইনিংস গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১৮১ রানে। মুস্তাফিজ ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৪টি এবং মাশরাফি ও সানজামুল ২টি করে উইকেট নেন।
×