ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জোশে মরিনহো এখনও ‘স্পেশাল ওয়ান’

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

জোশে মরিনহো এখনও ‘স্পেশাল ওয়ান’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা দৌড়ে বেশ পিছিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ টেবিলে বর্তমানে ৫ নম্বরে অবস্থান জোশে মরিনহো শিষ্যদের। ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট তাদের। ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা চেলসি ৩২ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে বড় দাবিদার এবার লীগ শিরোপা জয়ের। সেই চেলসিকে রবিবার রাতে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে ম্যানইউ। মরিনহো এ জয় তুলে নিতে তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন কৌশল তৈরিতে। মরিনহো ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন চেলসির দুই বিধ্বংসী মিডফিল্ডার এডেন হ্যাজার্ড ও পেড্রোকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে যে পাহারার ছক তৈরি করেছিলেন সেটার ফলস্বরূপ এ জয় এসেছে। দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে ম্যানইউ ঘরের মাটিতে কোন জয় তুলে নিতে পারেনি। অবশেষে ঘরের মাঠে জয় তুলে নিয়েছে মরিনহোর দল। আর সেটাও মনে রাখার মতো একটি জয়। কারণ, লীগের শীর্ষ দল চেলসিকে হারের তিক্ত স্বাদ উপহার দিয়ে খরা কাটিয়েছে ম্যানইউ। এই অবিস্মরণীয় জয় তুলে নেয়ার পেছনে মরিনহোর বুদ্ধিমত্তা, কৌশলকেই অনেকে কার্যকর বলে মনে করছেন। জেতার পর মরিনহোও দাবি করলেন কিছু বিষয়ে বাড়তি কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। বিশেষ করে চেলসির দুই অপ্রতিরোধ্য মিডফিল্ডার হ্যাজার্ড ও পেড্রোকে কড়া পাহারায় রাখার জন্য বিশেষভাবে ছক তৈরি করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। মরিনহো বলেন, ‘ডিয়েগো কোস্তার পেছনে যে দু’জন খেলোয়াড় থাকেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এটাই আমার পরিকল্পনার প্রথম ও প্রধান অংশ ছিল। মাঝে মাঝে হ্যাজার্ড-পেড্রো সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখে। তারা একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারদের জন্য এবং রক্ষণভাগের জন্য নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে। আবার আমি এটাও বলতে চাই তারা কাউন্টার এ্যাটাকেও দারুণ কার্যকর। যখন তাদের পায়ে বল যায় তখন তাদের রুখে দেয়া খুবই কঠিন। এ কারণে তারা যখনই বল পেয়েছে আমরা বেশি সংঘবদ্ধ হয়েছি। যখন তারা কাউন্টার এ্যাটাকে গেছে তাদের বল পাস করার রাস্তাগুলো বন্ধ করেছি। আমরা সবসময় এই বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় রত থেকেছি।’ গত মাসে স্টামফোর্ড ব্রিজে ৩-৫-২ ফরমেশনে দলকে খেলিয়েছিলেন মরিনহো। কিন্তু সেবার হারতে হয়েছিল। এমনকি প্রথমার্ধেই লালকার্ড দেখেছিলেন এ্যান্ডার হেরেরা। কিন্তু এদিন আবারও একই ফরমেশনে দলকে নামিয়েছেন মরিনহো। তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলেন চেলসিকে হারানোর বিষয়ে। আর হেরেরার ওপর আস্থা রেখেছিলেন যে তিনিই পারবেন চেলসি কোচ এ্যান্টোনিও কন্টেকে হতাশায় পর্যবসিত করতে। সেটাই সত্য হয়েছে। মারকাস র‌্যাশফোর্ডের পর গোল করেছেন হেরেরাও। এ বিষয়ে মরিনহো বলেন, ‘আমরা স্টামফোর্ড ব্রিজে যখন ১১ জন নিয়ে খেলতে নেমে ১০ জনে পরিণত হয়েছিলাম তখন অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। সবকিছু কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু এদিন সেটা হয়নি, আমরা পরিকল্পনা অনুসারে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ডিয়েগো কোস্তা খুবই ভয়ঙ্কর, কিন্তু তাকে কার্যকরী করতে যে দুটি লিংকের প্রয়োজন ছিল সেসব আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমি জিতেছি বলেই নয়, এই তরুণ রেফারি সত্যিই আমাকে সন্তুষ্ট করেছে। যদি জিততে নাও পারতাম সেক্ষেত্রেও এটা বলতাম। প্রিমিয়ার লীগের যারা শীর্ষস্থানীয় রেফারি তারা অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ববি ম্যাডলি (রেফারি) সেদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও দক্ষতায় তাদের প্রায় সমান।’
×