ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘ম্যানইউতে আমি ফুটবলের শিল্প শিখেছি’

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৫ এপ্রিল ২০১৭

‘ম্যানইউতে আমি ফুটবলের শিল্প শিখেছি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ পরাশক্তি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলেই আজকের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ওল্ডট্র্যাফোর্ড থেকেই তার উত্থান শুরু। তাইতো ২০০৯ সালে ইংলিশ ক্লাবটির মায়াজাল ছিন্ন করলেও এখনও ক্লাবটিকে ভালবাসেন সি আর সেভেন। বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা এই তারকা জানিয়েছেন, ম্যানইউতে খেলেই তিনি ফুটবলের শিল্প শিখেছেন। এদিকে স্প্যানিশ লা লিগায় আজ রাতে মাঠে নামছে দুই পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সিলোনা। এ্যাওয়ে ম্যাচে লেগানেসের বিরুদ্ধে খেলবে টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল। আর ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে বার্সার প্রতিপক্ষ সেভিয়া। এই ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছেন বার্সার সেরা তারকা লিওনেল মেসি। বর্তমানে ২৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রিয়াল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সিলোনা। রোনাল্ডোর ক্যারিয়ারের শুরু ২৮ নম্বর জার্সি পরে, আর ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসে পেয়ে যান লাকি সেভেন নম্বর। ধীরে ধীরে পর্তুগীজ তারকা হয়ে উঠলেন আজকের ‘সিআর সেভেন’। ক্যারিয়ারের চূড়ায় বসে পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড জানালেন, কিংবদন্তি কোচ স্যার এ্যালেক্স ফার্গুসনের বলাতেই এই জার্সি পরেছিলেন তিনি। বিষয়টি শুরুতে বিস্ময়কর লেগেছিল রোনাল্ডোর। কেননা ইউনাইটেড শিবিরে ৭ নম্বর জার্সি মানে অনেক কিছু। এই জার্সি পড়ে খেলেছেন জর্জ বেস্ট, এরিক কান্টোনা ও ডেভিড বেকহ্যামের মতো ফুটবলাররা। সম্প্রতি এক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে গিয়ে রোনাল্ডো শোনান এই জার্সি পরার পেছনের গল্প। ইউনাইটেডে প্রথমদিকে তারজন্য ২৮ নম্বর জার্সি রাখা হয়েছিল। পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুর ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনেও তাই পরতেন। কিন্তু ফার্গুসন তাকে বলেন, ৭ নম্বর পরতে। তখন স্যার ফার্গি বলেছিলেন, ‘দেখ, আমি চাই, তুমি ৭ নম্বর জার্সি পরো।’ রোনাল্ডো বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম, সব গ্রেট খেলোয়াড়রা এই জার্সি পরেছে।’ লিসবন থেকে ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টারে আসার সময় রোনাল্ডোর বয়স ছিল মাত্র ১৮। ক্লাবটির হয়ে পাঁচ বছরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের তিনটি ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগের একটি শিরোপা জেতেন। ২০০৯ সালে ৯ কোটি ৪০ লাখ ইউরোতে স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদে আসার আগে ইংল্যান্ডের ক্লাবটির হয়ে প্রথমবার বর্ষসেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হন তারকা এই ফরোয়ার্ড। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে সময়টা দারুণ কাটিয়েছেন বলে জানান রোনাল্ডো। বলেন, এটা ছিল ফুটবলে আমার সফল ধাপের শুরু। সেখানে আমি কেবল আমার ফুটবল দক্ষতার উন্নতিই করিনি, আমার শারীরিক উন্নতিও হয়েছিল। সি আর সেভেন বলেন, সেখানে পাঁচ বছরে আমি ফুটবলের শিল্পটা শিখেছি। একসঙ্গে আমরা অনেক কিছু জিতেছি। এটা আমার জন্য ছিল একটি স্বপ্ন। রিয়ালের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত রাউল গঞ্জালেস ২০১০ সালে সান্টিয়াগো বার্নাব্যু ছেড়ে পাড়ি জমান জার্মানিতে। তারকা এই ফুটবলারের নতুন ঠিকানা হয় জার্মানির ক্লাব শালকে জিরো ফোর। সে সুযোগেই রিয়ালের পর্তুগীজ তারকা রোনাল্ডো ‘সাত নম্বর’ জার্সির মালিক হয়েছিলেন। ম্যানইউতে ‘সাত নম্বর’ জার্সি গায়েই সবচেয়ে সফল ছিলেন সি আর সেভেন। রোনাল্ডোর গায়ে ‘সাত নম্বর’ জার্সি তুলে দিয়ে কিংবদন্তি স্যার ফার্গি বলেছিলেন, আমি তোমাকে নিয়ে আশাবাদী। ফার্গুসনের আস্থার প্রতিদান ভালমতোই দিয়েছিলেন বর্তমান ফিফা সেরা তারকা।
×