ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

হকিতে লঙ্কানদের হারাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১২ মার্চ ২০১৭

হকিতে লঙ্কানদের হারাল বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট ও হকি দলের জন্য শনিবার দিনটা ছিল মিশ্র অনুভূতিময়। এদিন শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট ম্যাচে শোচনীয়ভাবে হেরে গেলেও একইদিনে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত হকি ম্যাচে (ওয়ার্ল্ড হকি লীগ রাউন্ড-টু) রাবণের দ্বীপদেশ লঙ্কাকে গো-হারা হারিয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দল ৯-০ গোলে কচুকাটা করে লঙ্কাবাহিনীকে। আর এ জয়ে পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলার ছাড়পত্র পেল জিমি-চয়নরা। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পঞ্চম হওয়ার দ্বৈরথে ঘানার বিপক্ষে মুখোমুখি হবে অলিভার কার্টজের শিষ্যরা। এছাড়া একইদিনে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচগুলোতে ঘানা ১১-২ গোলে ফিজিকে (স্থান নির্ধারণী), মালয়েশিয়া ৫-০ গোলে মিসরকে (সেমিফাইনাল) এবং চীন ৫-১ গোলে ওমানকে হারায় (সেমিফাইনাল)। আজ বিকেল ৪টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে মালয়েশিয়া বনাম চীন। এছাড়া সকাল সোয়া ৯টায় সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কা-ফিজি এবং দুপুর পৌনে ২টায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মিসর-ওমান মুখোমুখি হবে। সেমিতে খেলার স্বপ্নসাধ আগেই ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বাজে নৈপুণ্য দেখিয়ে আসছে বাংলাদেশ দল। একমাত্র দুর্বল প্রতিপক্ষ ফিজি ছাড়া কারোর সঙ্গে জয় কুড়াতে পারেনি। সেজন্যই পঞ্চম স্থানের জন্য লড়াইয়ে নামতে হয় লঙ্কানদের বিপক্ষে। ম্যাচটা জিততে পেরে ‘ইজ্জত’ কিছুটা হলেও রক্ষা হয়েছে। এখন ঘানার সঙ্গে জিতলে মান-মর্যাদা আরেকটু বাঁচানো যাবে আর কি। নইলে যে পূর্ণ হবে ‘ব্যর্থতার ষোলো কলা’। অবশ্য ঘানা বাংলাদেশের জন্য চেনা প্রতিপক্ষই। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তারা ঘানার সঙ্গে ৩টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ১টি হার, ১টি ড্র এবং ১টিতে জয় কুড়িয়ে নেয়। শনিবার লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণ ও আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। প্রচুর গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। তবে সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নিঃসন্দেহে ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারতো। সারোয়ারের মাঠ জুড়ে বিচরণ, কৌশিকের নৈপুণ্য, জিমির দুরন্ত গতি ... সবমিলিয়ে প্রতিপক্ষ লঙ্কানদের অবস্থাটা যেন হয়ে পড়ে ‘ত্রাহি ত্রাহি মধুসূদন।’ ১ মিনিট নয়, খেলা শুরুর ৫০ সেকেন্ডেই প্রথম গোলের সন্ধান পায় স্বাগতিকরা। পেনাল্টি কর্নার (পিসি) পায় বাংলাদেশ। জিমির পুশ, সারোয়ারের স্টপের পর চয়নের ড্র্যাগ শ্রীলঙ্কান গোলরক্ষক তুসিত রতœাসিরিকে কোন সুযোগ না দিয়ে বল চলে যায় গোলপোস্টে (১-০)। ১১ মিনিটে জিমির চমৎকার স্টিওয়ার্কে পরাস্ত হয় শ্রীলঙ্কান রক্ষণভাগ। তার কৌণিক পাসে বক্সে বল পান ফরোয়ার্ড মিলন হোসেন। ফ্লিক করে গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন তিনি (২-০)। ২৪ মিনিটে চয়ন পিসি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে (জিমি-রানার পুশ স্টপের পর চয়ন এবার ড্র্যাগ করেননি, নিচু হিটে করেন গোলটি) আরেকটু অগ্রগামিতা পায় স্বাগতিকরা (৩-০)। ৪৬ মিনিটে জিমি কৌশিককে বল পাস দিলে গোল করেন কৌশিক (৪-০)। ৪৯ মিনিটে আরশাদ গোল করেন (৫-০)। ৫৬ মিনিটে পঞ্চম পিসি থেকে শুয়ে পড়ে কানেক্ট করে জিমির স্টিক থেকে আসে আরেকটি গোল (৬-০)। দুই মিনিট পরই আরশাদ করেন আরেকটি গোল (৭-০)। শেষে মিলন আরও দুটি গোল করলে ৯-০ গোলের তৃপ্তিকর জয় নিয়ে টার্ফ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। অবশ্য শ্রীলঙ্কা দলও গোলের সুযোগ পায়। তবে চয়ন, পিন্টু, খোরশেদ ও আশরাফুলের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন ১৪ ও ২৪ মিনিটে দুটি গোল রক্ষা করেন।
×