ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ভাগ্যের হার চট্টগ্রাম আবাহনীর

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১ মার্চ ২০১৭

দুর্ভাগ্যের হার চট্টগ্রাম আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ঝা-া ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের হাতে। ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল গত আসরের মতো এবারও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠবে বন্দরনগরীর এই দলটি। কিন্তু মঙ্গলবার সে আশায় জল ঢেলে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন সিটিজেন এফসির কাছে ১-২ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান বিজয়ী দলের পার্ক। যদিও চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রথম গোলটি করে এগিয়ে গিয়েছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। আগামী ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে পোচেয়ন। লিড নিয়ে কোচ টিটুর নির্দেশে ডিফেন্সিভ খেলে আবাহনী। সেটাই পরে তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কর্নার বক্সে পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো জামাল ভুঁইয়া। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ফ্লাইট মিস করায় গোল লাইনের খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান এই ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডার (১-০)। ম্যাচে ফিরতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে পোচেয়ন। ৩০ মিনিটে তাদের একটি গোল আটকে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৩১ মিনিটে কি জিয়ং ডিউকের বাইসাইকেল কিক ছিল নিশ্চিত গোল। ঝাঁপিয়ে পড়ে বল সরিয়ে দিয়ে দলকে বাঁচান রানা। ৪৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট আটকাতে যান আবাহনীর মুফতাল আউয়াল। বিতর্কিত এক পেনাল্টির নির্দেশ নেন চাইনিজ রেফারি। তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান জেং ইয়ং (১-১)। দ্বিতীয়ার্র্ধের শুরুতেই বক্সের ভেতর কোণাকোণি শটে গোল করে পোচেয়নকে এগিয়ে দেন পার্ক (২-১)। ৭২ মিনিটে পোচেয়নের বক্সে হ্যান্ডবল হলেও স্বাগতিকদের ন্যায্য পেনাল্টি দেননি রেফারি। ৮৫ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় পোচেয়ন। আবাহনীর নাসির উদ্দিনকে আঘাত করায় কিম চানকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তারপরও সমতায় ফিরতে না পেরে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিক দলকে। গ্রুপ ম্যাচে আফগানিস্তানেরর শাহিন আসমায়িকে ৩-১ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী। দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। শেষ গ্রুপ ম্যাচে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে কাক্সিক্ষত শেষ চারের টিকেট পায়। ‘এ’ গ্রুপের অপরাজিত রানার্সআপ দল হচ্ছে পোচেয়ন (পয়েন্ট ৫)। প্রথম ম্যাচে কিরজিগস্তানের এফসি আলগা বিশকেককে ২-০ গোলে হারায় তারা। এরপর পরের দুই ম্যাচে ঢাকা আবাহনী (০-০) এবং মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের (১-১) সঙ্গে ড্র করে সেমির টিকেট কাটতে সক্ষম হয়।
×