ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিকেএসপিতে জুনিয়র (বি) গ্রুপের দ্বিতীয় পর্ব শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিকেএসপিতে জুনিয়র (বি) গ্রুপের দ্বিতীয় পর্ব শুরু আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফিজিক্যাল কন্ডিশনিং এ্যাসেসমেন্টের দ্বিতীয় পর্ব (গ্রুপ-২) আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাভারের জিরানির বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রূপু, টিম অফিসিয়াল আমিরুল ইসলাম বাবু, কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী, স্ট্রেন্থ এ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ জন হুইটাল, গোলরক্ষক কোচ রায়ান স্যান্ডফোর্ড এবং ক্যাম্পের সমম্বয়ক বাফুফের টেকনিক্যাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলি দায়িত্ব পালন করবেন। গ্রুপ-২-এর ২৯ ফুটবলারকে শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় ফুটবল দলের টিম ম্যানেজারের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। গত ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক দল ঘোষণা করে বাফুফে। এবার নতুন পদ্ধতিতে ক্যাম্প করে তারা। ৬২ ফুটবলারকে দুই ভাগে ভাগ করে করা হয় ক্যাম্প। গ্রুপ ‘এ’তে ৩৩ এবং গ্রুপ ‘বি’তে ২৯ ফুটবলার। প্রথম গ্রুপে ঠাঁই পান সিনিয়র সদস্যরা। আর দ্বিতীয় দলটি মূলত জুনিয়রদের নিয়ে গড়া। ২২ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি হয় প্রথম পর্বের ক্যাম্প। দুই ক্যাম্পেরই ভেন্যু সাভার বিকেএসপি। দুই গ্রুপের এই ৬২ ফুটবলারকে নিয়ে কাজ করার পর একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন বাফুফের কাছে পাঠাবে ফিটনেস প্রশিক্ষক গ্রুপ। তাদের মূল্যায়নের প্রেক্ষিতেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য পরবর্তীতে দল চূড়ান্ত করা হবে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ম্যাচগুলো ফিফা স্বীকৃত। তবে ফিফার আইন অনুসারে স্বীকৃতি পাওয়া আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো কিন্তু একই শ্রেণীর নয়। এগুলোর মধ্যে আবার শ্রেণী বিভাগ আছে। এগুলো হচ্ছেÑ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ টায়ার। ‘টায়ার’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে স্বীকৃত প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ। তাছাড়া প্রীতিম্যাচ খেললে সেটা হবে ‘ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতম্যাচ।’ আবার কোন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হলে সেটা হবে ‘ফিফা আন্তর্জাতিক ম্যাচ।’ এক সময় ঢাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফুটবলপূর্ব নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল নিয়মিতভাবে (১৯৫৮ সাল থেকে শুরু) অনুষ্ঠিত আগা খান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য। দেশ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শক্তিশালী ক্লাবগুলো এ টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশ নিয়েছে। দেশের ফুটবলপ্রেমীরা প্রতিবছরই এ জমজমাট টুর্নামেন্টকে ঘিরে মেতে উঠতেন। বিদেশী দলের ভাল ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি উপভোগ করতেন ফুটবলের জমাটি দ্বৈরথ। দেশ স্বাধীন হবার পর আগা খান গোল্ডকাপের খেলা মাঠে গড়ালেও এক পর্যায়ে এই টুর্নামেন্ট আর চলতে বা অনুষ্ঠিত করতে চায়নি ফুটবল ফেডারেশন। আগা খান গোল্ডকাপ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে সংরক্ষিত অবস্থায়। পরে বাফুফের ইচ্ছানুসারে জাতির জনকের নামে ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করে। ব্যক্তিগতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ক্রীড়াপ্রেমিক এবং ফুটবলারও। ব্যস্ত রাজনৈতিক জীবনেও এক সময় তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ পর্যন্ত চারবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এ আসরটি। ১৯৯৬-৯৭ সালের ফাইনালে মালয়েশিয়া ‘বি’ দল ২-১ গোলে ইন্দোনেশিয়ার পারসাতুলান সেপাক বোলা মাকাস্সারকে, ১৯৯৯ সালে জাপান লীগ একাদশ ৩-২ গোলে ঘানা অলিম্পিক দলকে, ২০১৫ সালে মালয়েশিয়া অনুর্ধ-২৩ দল ৩-২ গোলে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে এবং ২০১৬ সালে নেপাল জাতীয় দল ৩-০ গোলে বাহরাইন অনুর্ধ-২৩ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৬ আসরে বাংলাদেশের দুটি দল অংশ নিয়েছিল। একটি জাতীয় দল, অন্যটি যুব দল। এবারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। এছাড়া প্রথম আসরে ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান অংশ নিয়েছিল। ‘বি’ গ্রুপের ২৯ ফুটবলার ॥ গোলরক্ষক : মাকসুদুর রহমান, মোঃ নাইম, আনিসুর রহমান জিকো, সবুজ দাস রঘু; রক্ষণভাগ : আরিফুল ইসলাম জুনিয়র, মনসুর আমিন, বিশ্বনাথ ঘোষ, শওকত রাসেল, কেষ্ট কুমার বোস, টুটুল হোসেন বাদশা, মঞ্জুর রহমান মানিক, জালাল মিয়া, শাকিল আহমেদ, মোঃ সবুজ; মধ্যমাঠ : মেহবুব হোসেন নয়ন, ফজলে রাব্বি, রুম্মন হোসেন, সুশান্ত ত্রিপুরা, শাহেদুল আলম শাহেদ, দিদারুল আলম, ওমর ফারুক বাবু, শাহেদুল আলম শাহেদ; আক্রমণভাগ : শাহাদাত হোসেন শাহেদ, সারোয়ার জামান নিপু, মান্নাফ রাব্বি, মতিন মিয়া, অওশি মং, সাদ উদ্দিন এবং সোহেল রানা।
×