ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ইব্রা ঝলকে টানা তিন জয় ম্যানইউর

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

ইব্রা ঝলকে টানা তিন জয় ম্যানইউর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুইডিশ সুপারস্টার জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচের চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্সে ভর করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে টানা তিন জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার রাতে এ্যাওয়ে ম্যাচে রেড ডেভিলসরা ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্টব্রুমউইচ এ্যালবিওনকে। ম্যানইউর হয়ে একাই দুই গোল করেন ইব্রাহিমোভিচ। ম্যানইউ সহজ জয় পেলেও আবারও লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিচেস্টার সিটিকে। এ্যাওয়ে ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে স্টোক সিটির সঙ্গে কোনরকমে ২-২ গোলে ড্র করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিচেস্টারের তারকা ফরোয়ার্ড জিমি ভার্ডি। তার উঠে যাওয়ার পরই প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গত মৌসুমে চমক দেখানো দলটি। তবে বিরতির পর সমতা ফিরিয়ে অন্তত মান বাঁচিয়েছে ক্লাউডিও রানিয়েরির দল। অন্যান্য ম্যাচে মিডলসব্রো ৩-০ গোলে সোয়ানসি সিটিকে, সান্ডারল্যান্ড ১-০ গোলে ওয়াটফোর্ডকে ও ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড একই ব্যবধানে হারিয়েছে হাল সিটিকে। চেলসি টানা তিন ম্যাচে জয় পায় ১-০ গোলে। এবার তারা হারায় স্বাগতিক ক্রিস্টাল প্যালেসকে। ১৭ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন চেলসি। রবিবার রাতের ম্যাচের আগে ১৬টি করে ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিনে লিভারপুল ও আর্সেনাল। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছয় নম্বরে। ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিচেস্টারের অবস্থান ২০ দলের মধ্যে ১৫ নম্বরে। ইপিএলে ১৭ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বনিম্ন পয়েন্টের বিব্রতকর রেকর্ড স্পর্শের শঙ্কা উড়িয়ে দেন ইব্রাহিমোভিচ। ১৯৯২-৯৩ ও ২০০১-০২ মৌসুমে প্রথম ১৭ ম্যাচ শেষে ইউনাইটেডের পয়েন্ট ছিল ২৭। তবে ইব্রা জাদুতে জয়ে পর সেই পয়েন্ট টপকে গেছে জোশে মরিনহোর দল। ওয়েস্টব্রুমের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে অতিথি ম্যানইউ। গোল পেতেও সময় লাগেনি। পঞ্চম মিনিটে গোল করেন ইব্রাহিমোভিচ। প্রথম সুযোগটিকেই গোলে পরিণত করেন এই সুইডিশ স্ট্রাইকার। জেসে লিনগার্ডের অসাধারণ ক্রসে হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ২২ মিনিটে অল্পের জন্য দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান। ম্যানইউ অধিনায়ক ওয়েন রুনির শট স্বাগতিক গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে বারে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির পরও আধিপত্য ধরে রেখে খেলতে থাকে অতিথিরা। ফলস্বরূপ ৫৬ মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। এবারও প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পান ইব্রা। ডি বক্সের ঠিক বাইরে রুনির কাছ থেকে বল পেয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে শট নেন। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে। লীগের শেষ ছয় ম্যাচে এটি ইব্রাহিমোভিচের সপ্তম গোল। ঘরের মাঠে লীগে শেষ তিন ম্যাচেই জেতা ওয়েস্টব্রুমউইচ ম্যাচে ফিরতে এরপর প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু কার্যকর তেমন আক্রমণই শাণাতে পারেনি তারা। ফলে টানা তিন ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেড ডেডিভলসরা। ম্যাচ শেষে শিষ্যদের পারফর্মেন্সে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ম্যানইউ কোচ জোশে মরিনহো। বিশেষ করে ইব্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন স্পেশাল ওয়ান। মরিনহো বলেন, সত্যিই সে (ইব্রা) অবিশ্বাস্য খেলে চলেছে। তার ধারাবাহিকতা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। গোল করার দক্ষতা অসাধারণ। পর্তুগীজ লৌহমানব আরও বলেন, আমরা তার কাছ থেকে এমনটাই আশাকরি। আমাদের বিশ্বাস, মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। স্টোক সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচে ২৮ মিনিটে সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিচেস্টারের জিমি ভার্ডি। ১০ জনে পরিণত হওয়া দলটি ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধে। ৩৯ মিনিটে বোজান কিরকিক পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন স্বাগতিকদের হয়ে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জো এ্যালেন। বিরতির পর ৭৪ মিনিটে উলোয়া লিচেস্টারের হয়ে প্রথম গোল করেন। ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে এ্যামারটের হেড স্বাগতিকদের জাল খুঁজে পেলে স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিচেস্টার।
×