ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনাকে স্বর্ণ উপহার পাওলোর

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৮ আগস্ট ২০১৬

ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনাকে স্বর্ণ উপহার পাওলোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফুটবলের দেশ হিসেবে পরিচিত আর্জেন্টিনা। তবে দেশটির অন্যান্য খেলার তারকারাও কম যান না। এই যেমন ব্রাজিলের রিওতে চলমান অলিম্পিক গেমসে ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনাকে স্বর্ণপদক উপহার দিয়েছেন প্রমীলা জুডোকা পাওলো পারেটো। বাংলাদেশ সময় রবিবার সকালে প্রমীলা জুডোর ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ পদক পান ৩০ বছর বয়স পাওলো। এই ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জিয়ং-বো কিয়ং। আর ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন দুইজন যৌথভাবে। এরা হলেন, জাপানের আমি কোন্ডো ও কাজাখস্থানের গাল্ডব্রাখান ওটগন্টসেটসেগ। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এই প্রথম অলিম্পিক জুডো থেকে সোনার পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন লা পেকে খ্যাত পাওলো। ২০১৫ সালে আস্টানার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও এ ইভেন্টে সেরা হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এই জুডোকা। রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জয়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন পাওলো। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, এই অনুভূতি বোঝানোর নয়। প্রথমবারের মতো দেশকে জুডো থেকে সাফল্য এনে দিতে পারলাম। খুব ভাল লাগছে। আশা করছি এবারের অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা ভাল করবে। ২০০৮ অলিম্পিক গেমসেও চমক দেখিয়েছিলেন পাওলো। যদিও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে নাটকীয় লড়াইয়ের পর ব্রোঞ্জপদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ম্যাচটি ছিল উত্তর কোরিয়ার পাক ওক-সং-এর বিরুদ্ধে। কোরীয় জুডোকা সারা ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে রেখেছিলেন। এমনকি তিনি এই কারণে একটি কোকাও লাভ করেন। শেষ দশে ম্যাচের ঘটনা প্রবাহ নাটকীয় মোড় নেয়। যখন কোরীয় মেয়েটি একটি বিশেষ পদ্ধতিতে আক্রমণ শুরু করলে পাওলা বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োগ করে সুবিধা আদায় করেন। এর ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে যখন বিচারকেরা মোট পদ্ধতি প্রয়োগের গণনা করার সময় কোরীয় মেয়েটি প্রথম সেই পদ্ধতির প্রয়োগ করেছে মনে করে তার পক্ষে রায় দেয়। ফলে কোরীয় মেয়েটি পদক জেতে আর পাওলা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আট বছর পর সেই দুঃখ ভালভাবেই ঘোচাতে পেরেছেন পাওলো। পাওলার শহরে তার আদরের নাম লা পেকে। বুয়েনস ইয়ার্স জেলার ফ্লোরিডাতে তার জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি রাজধানীর কাছে টিগ্রেতে মা-বাবার সঙ্গে থাকেন। তার যখন চার বছর বয়স তখন তিনি সাঁতার দিয়ে খেলার ভুবনে পদার্পণ করেন। পরের বছরই জিমন্যাস্টিক্স শুরু করেন। তাঁর যখন ৯ বছর বয়স তখন একদিন তার ছোট ভাই মার্কো বিদ্যালয় থেকে মার খেয়ে বাড়ি ফেরে। তার পিতা আল্ডো, কমবয়সে জুডো অনুশীলন করতেন, তাই এই ঘটনার পরে তিনি মার্কোকে একটি জুডো ক্লাবে ভর্তি করে দেন। কৌতূহলী হয়ে পাওলো সেখানে যেতেন। সেই থেকে বদলে পাওয়া পাওলো আজকের বিশ্ব খ্যাত জুডোকা।
×