ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

চোট গুরুতর নয়, জানিয়েছে সাসেক্স

আবার ইনজুরিতে মুস্তাফিজ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৫ জুলাই ২০১৬

আবার ইনজুরিতে মুস্তাফিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইনজুরির জন্য ঢাকা লীগ খেলা হলো না বাংলাদেশ ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানের। ইনজুরির জন্য কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার সংশয়ের মধ্যে ছিল। অবশেষে ইংল্যান্ডে গেলেন। দুটি ম্যাচও খেললেন। আবার ইনজুরিতে পড়ে গেলেন। সাসেক্সের হয়ে রবিবার রয়াল লন্ডন ওয়ানডে কাপে গ্লোচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল মুস্তাফিজের। কিন্তু অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়ে গেলেন। সেই পুরনো কাঁধের ইনজুরিতেই পড়লেন আবার। অবশ্য মুস্তাফিজের এ চোট খুব গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছে সাসেক্স। ম্যাচ শুরুর আগে টুইটারে সাসেক্স জানিয়েছে চোট গুরুতর নয়, ‘কাঁধের চোটের কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবেই তাকে (মুস্তাফিজকে) আজ (রবিবার) খেলানো হচ্ছে না।’ মুস্তাফিজ অবশ্য ১৩ জনের দলে ছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে মুস্তাফিজকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। ওয়ানডে কাপে সাসেক্সের অবস্থা করুণ। রবিবারের ম্যাচটিতে নামার আগে মাত্র ২ পয়েন্ট পেয়েছে। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে আছে। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাও দলটির জন্য কঠিন। এরচেয়ে ২৮ জুলাই যে ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্টে সাসেক্সের শেষ ম্যাচটি রয়েছে, সেটিতে মুস্তাফিজকে স্বাভাবিকভাবেই খেলাতে চাইবে দলটি। কারণ, ম্যাচটিতে জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা আছে। আইপিএল থেকেই ইনজুরি নিয়ে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। দেশে ফিরেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। এক মাস পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থেকে সুস্থও হন। খেলার জন্য প্রস্তুতও হন। তাই বিসিবি তাকে কাউন্টিতে খেলতে অনুমতিও দেয়। কিন্তু সেই একই অবস্থা হয়। যেটার ভয় ছিল, সেটিই হলো। সেই ইনজুরিই মুস্তাফিজকে আবার কাবু করছে। লন্ডন ওয়ানডে কাপে খেলতে নামতে পারেননি। তাই কাউন্টিতে ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হয়নি মুস্তাফিজের। তবে টি২০তে ঠিকই অভিষেক হয়েছে। অভিষেকটি আবার স্মরণীয়ও হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই ৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচের নায়ক হয়ে যান। কাউন্টিতে প্রথম ম্যাচেই আলোড়ন তৈরি করেন এ বিস্ময় বালক। পরের ম্যাচে অবশ্য সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। মুদ্রার উল্টো পিঠই যেন দেখেছেন। উইকেট তো পানইনি। সঙ্গে ৩.২ ওভার বল করেই ৩১ রান দিয়েছেন। ইংল্যান্ডে গিয়ে ২ ম্যাচ খেলে ৭.২ ওভার বল করার সঙ্গে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। সবাই অপেক্ষায় ছিল, কাউন্টিতে ওয়ানডে অভিষেকেও বাজিমাত করবেন মুস্তাফিজ। কিন্তু তা হলো না। উল্টো ইনজুরিতেই পড়ে গেলেন মুস্তাফিজ। এ ইনজুরি মুস্তাফিজকে সেই জানুয়ারি থেকেই ভোগাচ্ছে। এ ইনজুরির কবলে পড়ে জানুয়ারিতে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই যে ইনজুরি পিছু নেয়, এখনও ছাড়ছে না। এই ইনজুরির জন্য পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) খেলতে যেতে পারেননি মুস্তাফিজ। এশিয়া কাপ টি২০’র ফাইনালসহ দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। টি২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলা হয়নি। এমনকি সুপার টেনের একটি ম্যাচ খেলেননি মুস্তাফিজ। টি২০ বিশ্বকাপের পর আইপিএলেও শেষের দিকে একটি ম্যাচ খেলেননি। বারবার কাঁধের ইনজুরি তাকে ঘিরে ধরছে। আইপিএল থেকে ফেরার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকেন। ইনজুরি মুক্ত হন। মনে করা হয়, এবার সময়টি ভালই যাবে। কিন্তু মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতেই আবার একই অবস্থা দাঁড় হয়। যতদূর জানা গেছে, দ্বিতীয় ম্যাচের সময়ই আসলে কাঁধে ব্যথা অনুভব করেছিলেন মুস্তাফিজ। ম্যাচের পর সেই ব্যথা বেড়ে যায়। এরপর সাসেক্সের ফিজিওর সঙ্গেও কথা বলেন মুস্তাফিজ। আজকালের মধ্যেই তার কাঁধের স্ক্যান করানোর কথা রয়েছে। তখনই জানা যাবে চোটের আসল অবস্থা। এর আগেই মুস্তাফিজ ভক্তদের আশ্বস্ত করতেই সাসেক্স টুইট করে জানিয়ে দেয়, ইনজুরি গুরুতর নয়। সাসেক্সের এ টুইটে হয়ত আশ্বস্ত হওয়াও যায়। কিন্তু বাংলাদেশ দলের জন্য কী তা সমস্যা হয়ে দাঁড়াল না? সামনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। এর আগে যদি মুস্তাফিজ ইনজুরিতে পড়ে যান, তাহলে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজে কী আর শতভাগ দিতে পারবেন? মাত্র সুস্থ হয়ে আবার ইনজুরিতে পড়ে যাওয়া নিয়ে তাই চিন্তা থাকছেই।
×