স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা বড় ধরনের রাজনৈতিক খেলা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৪ দলের অন্যতম শরিক নেতা ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপদ এখনও কাটেনি। সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা বড় ধরনের রাজনৈতিক খেলা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আগুন সন্ত্রাস করে ব্যর্থ হয়ে পরাজিত শক্তি এ ধরনের গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, পরাজিত আগুন সন্ত্রাসী, জঙ্গীগোষ্ঠী বেগম খালেদা জিয়াকে খুঁটি এবং ঘাঁটি বানিয়ে গুপ্তহত্যা করছে। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। পরাজিত খালেদা জিয়া পিছু হটে এই গুপ্তহত্যা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা বলবে এ দেশে জঙ্গী সমস্যা প্রধান সমস্যা নয়, আমি তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজাকারের দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যতদিন শক্তি বাড়ানোর জন্য সন্ধি চুক্তিতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমি বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে এই জঙ্গী তৎপরতা ও গুপ্তহত্যায় সন্দেহের তালিকায় রাখব।
বামপন্থী দলের নেতাদের উদ্দেশ করে জাসদের একাংশের নেতা বলেন, বামপন্থীর নামে যারা জঙ্গীগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যাকে খাটো করে দেখছেন তারা আত্মঘাতী কাজ করছেন। এ থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে। মনে রাখা উচিত দেশপ্রেমের বাইরে কিছু নয়।
বিভিন্ন জেলা থেকে সাম্যবাদী দলে নেতাকর্মী যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, এই জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা, সংবিধান ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা। এই চক্রান্তের নতুন কৌশল আমরা দেখতে পাচ্ছি গুপ্তহত্যা। সম্প্রতি গুপ্তহত্যার ঘটনা ও জঙ্গীবাদী সন্ত্রাস প্রমাণ করে বাংলাদেশের বিপদ এখনও কাটেনি। বিভিন্ন সময় সামরিক সরকার ও খালেদা জিয়ার হাত ধরে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপি রাজাকার ও সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদীদের সঙ্গে সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে আছে। এটাই বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদ।
হাসানুল হক ইনু সকলকে বামপন্থী দলের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জঙ্গীবাদবিরোধী জাতীয় সংগ্রাম চলছে। এই সংগ্রামে আপনারা বামপন্থী দলের ছাতার তলে সমবেত হন। তাহলে জঙ্গীবাদবিরোধী আন্দোলন বেগবান হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সমাজ বিপ্লবের অঙ্গীকার নিয়ে আমরা কাজ করছি। জঙ্গীবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলছে। এই সংগ্রামকে সমাজ বিপ্লবের সংগ্রামের দিকে অগ্রসর করতে হবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে. কিন্তু বেকারত্ব দূর হয়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: