ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গনকবলিত ৪২ চাষীর মুখে হাসি

তিস্তার বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২০ মে ২০১৫

তিস্তার বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ তিস্তা নদীর বালুচরে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। চরের মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ বেশি। ফলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তিস্তার মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করা হচ্ছে। ক্ষেতেই এই কুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। সরেজমিনে দেখা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ঝাড়শিঙ্গেশ্বর চরে তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়া ভাল ফলনে চরবাসীর মুখে ফুটেছে হাসি। উপজেলার নদীভাঙ্গা ৭টি ইউনিয়নে ৪০২ জন অতি দরিদ্র নর-নারীকে নিয়ে ১৪৫ একর বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়। মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন হয়েছে দুই হাজার মেট্রিক টন। এক একটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন হয়েছে ১০-১৫ কেজি পর্যন্ত। ম্যাঙ্গো জুস তৈরিতে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা থাকায় বিভিন্ন জুস কোম্পানি তিস্তায় এসে মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করছে বলে চরবাসীরা জানায়। হয়। এই চরের সুলতানা আক্তার জানান, তিস্তার বালুতে তিনি ৪১টি মিষ্টি কুমড়ার গাছ লাগিয়ে ৪৫০টি মিষ্টি কুমড়ার ফলন পেয়েছেন। বার্নিরঘাট চরের শাহাজাদী বেগম জানান, এই চরে ৩৪ জন হত দরিদ্র মহিলা সদস্য সাড়ে ৭ একর চরের জমিতে আবাদ করেছেন মিষ্টি কুমড়া। ডিমলা উপজেলার ৭টি চরে ১৪৫ একর জমির উপর কুমড়া চাষ করা হয়। চরের সুখবালা (৪৫), অঞ্জনা রানী (৩০), সুফলা রানী (৩৫), নূরবানু (৩২), মিনতি বালা (২৪), ছাইফুল ইসলামের স্ত্রী আইরিন বেগম (২৮), আজিজুলের স্ত্রী মারুফা আক্তার সুইটি (২২), অনুকূলের স্ত্রী সুবাসী বালা (২৭) এবারেই প্রথম কুমড়া চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে তারা উল্লসিত। ডিমলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, তিস্তার বালুর চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ দরিদ্র নারীদের উন্নয়নে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। তিস্তা নদীর চরাঞ্চলেই প্রায় ৫০ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের লাউ, মিষ্টিকুমড়া, পানি কুমড়া, শাকসবজি, পিঁয়াজ, রসুন ও মরিচসহ মসলাজাতীয় ফসল উৎপন্ন হচ্ছে । এক যুগ পর আজ জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৯ মে ॥ দীর্ঘ প্রায় একযুগ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে জামালপুর জেলায় আওয়ামী পরিবারে বিরাজ করছে এখন উৎসবের আমেজ। অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা শহর। বুধবার দুপুরে কাক্সিক্ষত ও বহুল প্রত্যাশিত জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালের ২৩ অক্টোবর। সম্মেলনকে সফল করতে জেলা আ.লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এবং ১২টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি সম্মেলনকে সফল করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সম্মেলনকে ঘিরে জেলার আনাচে কানাচে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ব্যাপক আলোচনা ও তোড়জোড়।
×