
ছবিঃ সংগৃহীত
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ ৮ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পরপরই ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারওয়ার হোসেন, বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাঈল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতরা হলেন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০)
দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ এলাকার মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৬৫)
মৃত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী শেলি বেগম (৬০)
ধর্মদহ এলাকার মোল্লার স্ত্রী আঞ্জুমানআরা (৬০)
শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আন্না বেগম (৬০)
মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনু বেগম (৫৫)
মাইক্রোবাস চালক রুবেল হোসেন (৩২), মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বাসিন্দা
একই জেলার বাসিন্দা সিমা খাতুন
নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইসমাঈল হোসেন জানান, সকালে অসুস্থ পুত্রবধূকে দেখতে মেহেরপুর থেকে মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন জাহিদুল ইসলাম। পথে আইড়মারী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত্যু হয়।
পরে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৫ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পলাতক রয়েছে।
মারিয়া