টুরিস্টদের ভিড় ‘আচার মার্কেটে’, কুয়াকাটার সেরা স্বাদ বার্মিজ আচার

সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের অতি পছন্দের খাবার মুখরোচক 'বার্মিজ আচার'। তাইতো এখানে আসলেই পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় আচারের দোকানগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের কোল ঘেঁষে কাঠ ও টিনের টং দোকানগুলোতে নানা স্বাদের আচারের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। দোকানগুলোতে ভিড় দেখা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকদের। দোকানগুলোর এ স্থানটি সাধারণত আচারের মার্কেট নামে পরিচিত। এখানে দেখা যায় নানা স্বাদের প্যাকেটজাত আচার। এরমধ্যে স্বাদের জাদুতে সবচেয়ে এগিয়ে স্থানীয় রাখাইন জনগোষ্ঠীর নিজ হাতে তৈরি করা বার্মিজ আচার। এছাড়াও রয়েছে নাগা চিলি, তেঁতুল চাটনি, বড়ই আচার ও মিক্সড (আম, তেঁতুল,বড়ই) চাটনি, রসুন আচার ইত্যাদি।

জানা যায়, প্রায় ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে কুয়াকাটায় মায়ানমার থেকে নদী পথে আগমন ঘটে রাখাইনদের। এরপর সেখানে বসতি স্থাপন করেন তারা। কুয়াকাটা পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পেলে মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে তাদের তৈরি আচার। বিভিন্ন মশলা ও খাটি উপকরণ দিয়ে আচার তৈরি করায় এর স্বাদে সন্তুষ্ট ভোক্তা। বর্তমানে এখানে রাখাইনদের পাশাপাশি আচার বিক্রি করছেন স্থানীয়রাও।

আচার মার্কেটের ভাইবোন আচার ঘরের দোকানি মাহাদি হাসান জানান, "প্রায় ১০ বছর ধরে এখানে আচার বিক্রি করছি আমরা। এখানে রাখাইনদের তৈরি বার্মিজ আচার ছাড়াও আমাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি আচার পাওয়া যায়। ক্রেতার উপস্থিতি খুবই ভালো।"

মাহাদির ভাই মোঃ হাসান বলেন, " দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষজন তাদের প্রিয়জন ও পরিবারের সদস্যদের জন্য এখান থেকে আচার নিয়ে যান। শীতকালে আমাদের বিকিকিনি আরও বেড়ে যায়।"

আচার মার্কেটে খুচরা (পিস) ও প্যাকেটে  হিসেবে বিক্রি হয় এ আচার। এখানে প্রতি প্যাকেটে ২০ পিস করে থাকা রসুন ও তেঁতুল ও মিক্সড আচার এর প্যাকেট  প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস খুচরা বিক্রি হয় ১০ টাকা মূল্যে।

কুয়াকাটা আসলেই দর্শনার্থীরা  এখানকার স্মৃতি হিসেবে শখের বসেই পরিবারের জন্য নিয়ে যান নানা স্বাদের এ আচারগুলো।

এখানে ঘুরতে আসলে আপনিও স্বাদ নিতে পারেন স্থানীয় রাখাইনদের তৈরি বার্মিজ আচারের, নিয়ে যেতে পারেন প্রিয়জনদের জন্য।