
দৈনিক জনকণ্ঠ
কয়েকদিনের বর্ষণে রংপুরের খাল-বিল, নদী নালায় নতুন পানিতে ভরে উঠেছে। এসব পানিতে প্রতিবছরই দেশি প্রজাতির মাছের আনাগোনা থাকে। এই মৌসুমে মাছ দলার সরঞ্জামের চাহিদা বেড়ে যায়।
অনেক শৌখিন মাছ শিকারি চাই দিয়ে মাছ ধরে তৃপ্তি বোধ করেন। বাঁশ-বেত দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির কারিগররা এবং ঘরের নারীরা অবসরে এসব উপকরণ তৈরি করে বাড়তি আয় করছেন। অঞ্চলভেদে মাছ ধরার এসব দেশীয় সরঞ্জামাদিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
যেমন -ডারকি, ঝাঁকি জাল, টানা জাল, ঠেলা জাল, পলো, পেতে রাখা জাল, বাইড়, মুছনা ও বড়শি। সাধারণত ফাঁদে ধরা পড়ে ট্যাংরা, চিংড়ি, টাকি, চান্দা, পুঁটি, গুতুম, বাইম মাছ ও রুই, কারফিউ, ছোট কাতল, শোল মাছসহ বিভিন্ন মাঝারি এবং বড় প্রজাতির মাছ। রংপুর লালবাগ হাটে সরঞ্জাম কিনতে আসা মাহিগঞ্জ এলাকার নয়ন মিয়া বলেন,
আমাদের গ্রামের আশপাশে আবাদি জমি ও ছোট ছোট ডোবা-নালায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। আর সেখানে দেখা মিলছে বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। আমি বর্ষাকাল শুরু হলেই মাছ ধরি এটা আমার নেশা। তাই মাছ ধরার জন্য পলো কিনতে এসেছি। লালবাগ হাটে মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, গত কয়েক টানা বৃষ্টিতে খালবিলে পানি বেড়েছে।
এতে আমাদের বিক্রিও বেড়েছে। দৈনিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার সরঞ্জামাদি বিক্রি করতে পারি। ফলে ৫০০ থেকে ১ হাজার লাভ হয়। প্রকারভেদে একটি ডারকি ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে আর সাপ্তাহিক হাটের দিনগুলোতে আরও বেশি সরঞ্জাম বিক্রি হয়।
রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন জলাশয়-বিলে ইতিমধ্যে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর সঙ্গে জলাশয়গুলো ভরে উঠেছে দেশীয় জাতের ছোট-বড় মাছে। মাছ শিকার করছেন বিল পাড়ের জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা।
হ্যাপী