
খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় কৃষকরা আবারও পাট চাষে সোনালি স্বপ্ন দেখছেন। অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত বৃষ্টি এবং সরকারি সহায়তায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনের আশায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন এখানকার পাটচাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগও মনে করছে, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পাট উৎপাদন হতে পারে।
গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর উপজেলার কৃষকরা অধিক হারে পাট চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন। সময়মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাটের বীজ বপন ও চারা গজানো ভালো হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৩৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৩৭৫ হেক্টর।
শুক্রবার(২৭জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার আওতাধীন লবণাক্ত এলাকার মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা এলাকায় পাট চাষ বেশি হয়েছে।
এসময় এসব এলাকার চাষীদের মধ্যে রফিকুল, বারিকুল, সৌমিত্র,রমেন্দ্র, দেবাশিষ, আফজাল,সুকেন,ধীমান, রবীন, রাহাদুল ও সামাদ জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের গাছ বেশ ভালো হয়েছে। তবে পাট জাগ দেওয়ার জায়গা সংকট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন ডোবা-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এক জায়গায় একাধিকবার পাট জাগ দিতে হয়, ফলে আশ ঠিকমতো পাওয়া যায় না এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
এদিকে পাটের আবাদ ভালো হওয়ায় আশের মান নিয়েও চাষিরা আশাবাদী। সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে বীজ, রাসায়নিক সার এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক জমিতে পাট গাছ ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, বীজ বপনের সময় অনুকূল বৃষ্টি পাট চাষে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকি করছে কৃষি অফিস। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পাট ও পাটকাঠি থেকে কৃষকরা এবছর আশানুরূপ মূল্য পাবে।
Mily