ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে রচনায় জাতীয় পুরস্কার পেলেন টঙ্গীবাড়ীর নিশু

মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, টঙ্গীবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ২৭ জুন ২০২৫

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে রচনায় জাতীয় পুরস্কার পেলেন টঙ্গীবাড়ীর নিশু

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে গবেষণামূলক রচনা লিখে জাতীয় পর্যায়ে সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর মেয়ে নুসরাত জাহান নিশু।

‘গণমাধ্যমের বার্তাকক্ষ ও অনুষ্ঠানের মূলধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি’—এমন গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সেরা ৮ জনের একজন হিসেবে নিশুর নাম ঘোষিত হয়।

এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন ‘সমষ্টি’, সহযোগিতায় ছিল ইউনেস্কো বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সভা কক্ষে।

এতে ইউনেস্কো বাংলাদেশ-এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ নিশুর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি, দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ প্রমুখ।

নুসরাত জাহান নিশু মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বাশবাড়ি গ্রামের মেয়ে। বাবা আবুল কাশেম বেপারী ও মা ময়না আক্তার দুলির দুই কন্যার মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বর্তমানে নিশু গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত।

নিশু বলেন, “গবেষণা প্রবন্ধ লেখার প্রতি আমি বরাবরই আগ্রহী। এবার ভিন্নধর্মী এই প্রবন্ধে যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হিউম্যান রাইটস ও তাদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। UNESCO ও Somashte এর যৌথ আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় আমি ৯৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি যেখানে সিলেক্টেড হয়েছে ৮ জন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি ভবিষ্যতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মিডিয়া ইনক্লুসিভিটি নিয়ে আরো কাজ করতে চাই।”

এর আগেও শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন নিশু। সেই সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

নুসরাত জাহান নিশুর এ অর্জন শুধু একটি পুরস্কার নয়, এটি প্রতিবন্ধীবিষয়ক সমাজচিন্তায় তরুণদের অংশগ্রহণ ও মননশীলতার প্রতিফলন। তার মতো মেধাবী, সচেতন ও সমাজমনস্ক তরুণীরা সামনে এলে—একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা কঠিন কিছু নয়।

প্রতিবন্ধীদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন নিশু—টঙ্গীবাড়ী থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত।

Mily

×