
ছবিঃ সংগৃহীত
আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা ১১:৩০ থেকে আড়াইটা পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সাবেক প্রক্টরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। সেই সাথে পুনরায় তদন্তের দাবি জানান। একই সময় তারা আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচারের দাবিও তোলেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা তাদের (ট্রাইব্যুনাল) সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসতে চেয়েছি কিন্তু তারা আসেনি। তারা বলছে হামলা নাকি ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে হয়েছে। এটা মিথ্যাচার। বাংলাদেশের বিচারহীনতার বড় প্রমাণ আজ এই চার্জশিট দেয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।” তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ বলেন, “আবু সাঈদ হত্যা মামলায় চার্জশিট প্রকাশের আগে তদন্ত কমিটির রংপুর এসে, আবু সাঈদ হত্যার সাক্ষী ও সহযোদ্ধাদের সাথে বসে, চার্জশিট প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কারো সাথে কোন যোগাযোগ না করে মনগড়া তদন্ত করে চার্জশিট প্রকাশ করেছে, যা এক ধরনের প্রহসন। তাই এই মিথ্যা প্রহসন ও মিথ্যা তদন্তকে বেরোবি শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রশাসনিক ভবনে সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, “এটা তো আইনের বিষয়। তারা কী করছে এখন তো আমরা জানি না। সাবেক প্রক্টর শরিফুলের এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা ছিল কি ছিল না, তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করলে জানা যাবে। তারা কী তদন্ত রিপোর্ট দেবে, তা তো শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে দেবে না।”
উল্লেখ্য, এ মামলায় চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন—রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
মারিয়া