
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মোবাইলের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার দাবিতে একক মানববন্ধন করেছেন কুড়িগ্রামের যুবক মাইদুল ইসলাম।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাসিন্দা মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম। তিনি হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে বলেন, “ভোট দেওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু অনেকেই কর্মজীবন, দূরত্ব, সময় সংকট ও নিরাপত্তার অভাবে এই ন্যায্য অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত যুগে ঘরে বসে, নিরাপদে ও গোপনীয়তা বজায় রেখে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এতে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন এবং দেশের ভোটার উপস্থিতি ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
মাইদুল ইসলাম জানান, প্রায় ৯ মাস আগে তিনি ডিজিটাল ভোটিং-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ভিডিওর মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এবং আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি সেই দাবিটি আবার তুলে ধরেন।
তিনি তার প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, ভোট দেওয়া যাবে মোবাইল অ্যাপ বা *১০৫# ডায়াল করে। এতে ব্যালট পেপার, ইভিএম, ভোটকেন্দ্র বা পোলিং অফিসারের প্রয়োজন হবে না। এনআইডি-সংযুক্ত মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে একজন ভোটার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে ভোট দিতে পারবেন।
প্রবাসীদের জন্য থাকছে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ, যেখানে তারা পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন নিয়মিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে মৃত ও কারাবন্দি ব্যক্তিদের তথ্য ব্লক করতে পারবে।
মাইদুল বলেন, “প্রার্থীরা মাঠে প্রচারণার পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করলে ব্যয় অনেক কমে যাবে। ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য মোবাইল কোর্ট ও হেল্পলাইন চালু রাখা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটারদের উৎসাহ দিতে প্রতিটি ভোটারের জন্য ৩০ থেকে ৫০ টাকা সম্মানী দেওয়া যেতে পারে, যার সম্ভাব্য ব্যয় মাত্র ৩৯০ থেকে ৬৫০ কোটি টাকা।”
তার দাবি, “আমরা আর কেন্দ্রে গিয়ে ঝুঁকি নিতে চাই না। আমরা চাই ঘরে বসে, গোপনে, নিরাপদে ভোট দিতে।” এই ব্যবস্থাকে তিনি ভবিষ্যতমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রের পথ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, তার দাবির পক্ষে যুক্তিসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে তার একটি ইউটিউব ভিডিওতেও।
মিমিয়া