ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্বে দুষ্প্রাপ্য লাল হিরার রহস্য উদঘাটন, উন্মোচিত হলো ‘উইনস্টন রেড’

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৬ জুন ২০২৫

বিশ্বে দুষ্প্রাপ্য লাল হিরার রহস্য উদঘাটন, উন্মোচিত হলো ‘উইনস্টন রেড’

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম দুষ্প্রাপ্য রত্ন লাল হিরা। এক ক্যারেটের বেশি ওজনের মাত্র ২৪টি লাল হিরা এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে নথিভুক্ত হয়েছে। সেই বিরল রত্নের একটি, ‘উইনস্টন রেড’, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরিতে সর্বসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য এ রত্নটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগৃহীত হয় জুয়েলারি কিংবদন্তি হ্যারি উইনস্টনের পুত্র রোনাল্ড উইনস্টনের কাছ থেকে। নতুন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে এই হিরার উজ্জ্বল রক্তিম রঙের উৎস ও সম্ভাব্য উৎপত্তি স্থানও শনাক্ত করেছেন রত্নবিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা।

কেন এত বিরল লাল হিরা?

‘জেমস অ্যান্ড জেমোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায়, উইনস্টন রেড হিরায় রয়েছে এক বিশেষ ধরনের নাইট্রোজেন এবং এটি তৈরি হয়েছে এক ধরনের বিকৃত স্ফটিক জাল বা ল্যাটিসের মাধ্যমে, যা গোলাপি থেকে গাঢ় লাল স্তরে স্তরে সাজানো থাকে।

এই গঠন তৈরি করতে যে মাত্রার তাপ ও চাপ প্রয়োজন, তা প্রকৃতিতে খুবই বিরল। এই কারণেই উজ্জ্বল লাল হিরার অস্তিত্ব এত দুর্লভ।

ইতিহাসও দিচ্ছে ইঙ্গিত

উইনস্টন রেড হিরার প্রাচীনতম ইতিহাস পাওয়া যায় ১৯৩৮ সালে, যখন খ্যাতিমান জুয়েলার জ্যাক কারটিয়ের এই হিরাটি বিক্রি করেন ভারতীয় রাজা নাওয়ানগরের মহারাজাকে।

এর রঙ, গঠন, রাসায়নিক উপাদান ও কাটিং স্টাইল বিবেচনায় গবেষকরা ধারণা করছেন, হিরাটির উৎস হতে পারে ব্রাজিল কিংবা ভেনেজুয়েলার কোনো খনি।

রত্ন প্রেমীদের জন্য এক দুর্লভ সুযোগ

উইনস্টন রেড এখন শুধুই একটি হিরা নয়, বরং প্রাকৃতিক ইতিহাস, ভূতত্ত্ব এবং জ্যামোলজির এক যুগান্তকারী উদাহরণ। যারা বিরল রত্ন দেখতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।

সূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান

ইমরান

×