ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান যুগে প্রযুক্তি নির্ভরতা, ব্যস্ত পারিবারিক জীবন এবং সীমিত সময়ের কারণে অনেক বাবা-মা অভিযোগ করেন—বাচ্চারা কথা শুনছে না, নির্দেশ মানছে না কিংবা আচরণে জেদি হয়ে উঠছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বকাঝকা নয়—সঠিক অভ্যাস ও আচরণগত পদ্ধতি গ্রহণ করলে শিশুর আচরণে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব।
নিচে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে তিনটি কার্যকরী পদ্ধতি তুলে ধরা হলো, যা আজ থেকেই অনুসরণ করলে বাবা-মা ফল পেতে পারেন:
১. শুনতে শিখুন—শুধু বলবেন না
শিশুকে কোনো কাজ করতে বলার আগে তার মনোযোগ আপনার দিকে আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করুন। চোখের দিকে তাকিয়ে মৃদু কণ্ঠে বলুন। প্রয়োজনে তার কথা আগে শুনে নিন, তারপর নিজের কথা বলুন। বিশেষজ্ঞ মত: “শুধু নির্দেশ নয়, শিশু চায় যোগাযোগ। আপনি যদি তাকে শোনেন, সেও আপনাকে শুনবে।”
২. নিয়ম-কানুনে স্থিরতা আনুন
ঘনঘন নিয়ম বদলানো, একবার রেগে যাওয়া, আবার প্রশ্রয় দেওয়া—এতে শিশুর মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়। প্রতিটি বিষয়ে অভিন্ন নিয়ম রাখুন এবং সেটা আগেই ব্যাখ্যা করুন। উদাহরণ: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঠিক করে দিন (যেমন: রাত ৯টা)। প্রতিদিন একই নিয়মে সেটা মেনে চলুন।
৩. ভালো আচরণের প্রশংসা করুন
শিশুরা সবসময় দুষ্টুমি করে না। যখন তারা ভালো কিছু করে, সেটি লক্ষ্য করে সরাসরি প্রশংসা করুন—“তুমি খুব সুন্দরভাবে ভাইয়ার সঙ্গে খেলেছো, ধন্যবাদ!” এতে শিশুর মধ্যে ইতিবাচক আচরণের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। গবেষণা বলছে—প্রশংসিত বাচ্চারা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী মনে করে এবং নিয়ম মানার ক্ষেত্রে উদ্যমী হয়।
শিশুরা কথা না শুনলে তাদের দোষ দেওয়ার আগে বাবা-মা হিসেবে নিজেদের আচরণ পর্যালোচনা করা জরুরি। প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাস ও কথার মাধ্যমে তৈরি হয় বড় পরিবর্তন। তাই শিশু যদি কথা না শোনে, আজ থেকেই শুরু করুন এই তিনটি কাজ—পরিবর্তন নিজেই দেখতে পাবেন।
ফারুক
