
ছবিঃ সংগৃহীত
রাতের ঘুমে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। এই সহজ পানীয়টি শুধু শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, বরং মানসিক শান্তি এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজ রাতে দুধের সঙ্গে হলুদ খাওয়ার ৮টি আশ্চর্য উপকারিতা—
১. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদানটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ, যা দেহকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।
২. ঘুম ভালো হয়:
রাতে হলুদ দুধ খেলে শরীরে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে, যা মানসিক প্রশান্তি এনে ঘুমের গুণমান উন্নত করে।
৩. হাড় মজবুত করে:
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আর হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৪. ঠান্ডা-কাশিতে উপকারী:
হলুদের জীবাণুনাশক গুণ ঠান্ডা, কাশি ও গলায় ব্যথা উপশমে কার্যকর। এটি শ্বাসনালিকে পরিষ্কার করে শ্বাসকষ্টেও আরাম দেয়।
৫. হজমে সহায়ক:
হলুদ দুধ হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস, অম্বল বা বদহজমের সমস্যা কমায়।
৬. ত্বক উজ্জ্বল করে:
হলুদ দুধের নিয়মিত সেবনে রক্ত পরিষ্কার হয়, যা ত্বকে স্বাভাবিক দীপ্তি এনে দেয় এবং ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা কমায়।
৭. শরীরের ব্যথা ও জ্বালা কমায়:
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা যারা দীর্ঘ সময় এক জায়গায় কাজ করেন, তাদের মাংসপেশির ব্যথা ও জ্বালা কমাতে হলুদ দুধ অত্যন্ত কার্যকর।
৮. মানসিক চাপ কমায়:
এই পানীয় স্নায়ুকে শান্ত করে এবং মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস করে।
কীভাবে খাবেন?
রাতে ঘুমানোর আধঘণ্টা আগে এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খান। চাইলে সামান্য মধুও মেশাতে পারেন স্বাদ বৃদ্ধির জন্য।
সতর্কতা:
যাদের হলুদে অ্যালার্জি আছে বা যকৃতের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই পানীয় গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রাকৃতিক এই উপাদানের নিয়মিত ব্যবহারে আপনার শরীর ও মনের সুস্থতা যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে বহুগুণে। এখনই শুরু করুন হলুদ দুধ খাওয়ার অভ্যাস!
আলীম