
ছবিঃ জনকণ্ঠ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সকাল বেলায় ফুটবল খেলা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। স্থানীয়রা দলবদ্ধভাবে সকালে ফুটবল খেলে সময় কাটান এবং শরীরচর্চা করেন। এটি তাদের মধ্যে একটি সাধারণ বিনোদন এবং খেলাধুলার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ভাঙ্গুড়ায় প্রায় দেড় যুগ ধরে এই খেলা চলে আসছে।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ঘাসে মোড়া সবুজ মাঠে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের অর্ধ শতাধিক মানুষ ফুটবল খেলায় মেতে উঠেছে। এভাবেই প্রতিদিন সকালে সব বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া এলাকার সেলিম রেজা, স্বনামধন্য গোলরক্ষক রাশিদুল ইসলাম, শেখ সাখাওয়াত হোসেন (ব্রাজিল ভক্ত), শাহেব পাড়ার শামছুল ইসলাম, কলেজ পাড়ার মিজানুর রহমান মিজান, আমিনুল ইসলাম রাসেল (উইলিয়াম রাসেল), শেখ সাইফুল আজম শাহীনসহ বেশ কয়েকজনের উদ্যোগে সকালের এই ফুটবল খেলা শুরু হয়।
স্থানীয় ক্রীড়াপ্রমীরা জানান, উপজেলায় শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এই মাঠটির গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মানসিকতা তৈরি হয়, যা মাদক ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সহায়ক।
সামিউল ইসলাম তাজ, শেখ শফিউল্লাহ কাওসার, সাঈম খান নামের শিক্ষার্থীরা জানান, তরুণদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এলাকার বড় ভাইয়েরা দীর্ঘদিন যাবৎ সকালে ফুটবল খেলা চালু রেখেছেন। আজকের তরুণরা সমাজের শক্তি। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির এই চর্চা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া।
ভাঙ্গুড়ায় সকালের ফুটবল খেলার অন্যতম উদ্যোক্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে সবাইকে খেলাধুলায় আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জনকন্ঠকে বলেন, শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হল খেলাধুলা। খেলাধুলাই একমাত্র সুস্থ শরীর গঠন, সঠিক ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও মানসিক বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মনকে উৎফুল্ল করে। যার ফলে বৃদ্ধি পায় শিক্ষার হারও। তাই সুস্থভাবে জীবন-যাপন করতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যেতে হবে।
আলীম