
ছবিঃ জনকণ্ঠ
মেহেরপুরের হিমসাগর আম যার সুখ্যাতি বিশ্বজুড়ে। রপ্তানি হয় ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সুস্বাদু এই আম এবার পেল জি.আই পণ্যে স্বীকৃতি। এতে উচ্ছাসিত বাগান মালিকরা তারা বলছেন, আমটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশে ও বিদেশের বাজারে ব্যবসায়ীক সম্ভবনার দ্বার উম্মোচিত হবে কদর বাড়বে এ জেলার আমের।
মেহেরপুর শহরের সবচাইতে বড় আম বাগান মালিক সাইদুর রহমান বলেন, তিনি প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে কিছু হিমসাগর আম বাজারে রপ্তানি করেন। রয়েছে গ্যাপের সনদপত্রও। সুস্বাদু হিমসাগর আমটি সম্প্রতি জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় একশো ২০ মেট্রিটকটন আম রপ্তানির আশা করছি।
আরেক আম ব্যবসায়ী সাখারত হোসেন বলেন, মেহেরপুরের হিমসাগর আম দেশে বিদেশে ব্যাপক চাহিদা আছে জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর চাহিদা আরও বাড়বে।
তবে বাগান মালিকদের অভিযোগ, এতোদিন দেশ ও বিদেশের বাজারে মেহেরপুর জেলার হিমসাগর আম বিক্রি হয় রাজশাহীর নামে। পরিবহণ, রপ্তানীযোগ্য আম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে গ্যাপের সার্টিফিকেট পাওয়াও সহজলোভ্য উত্তরবঙ্গের বাগান চাষিদের। অথচ চেষ্টা করেও মেহেরপুরের চাষিদের মেলেনা এ সূযোগ। তবে হিমসাগর আমটি ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ঘুচবে সকল দুঃখ-কষ্ট। মিলবে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সূযোগ সুবিধা।
মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রিী কলেজের সহকারি অধ্যাপক ( অবঃ) জাহির হোসেন বলেন, মেহেরপুরের হিমসাগর আমের জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় আমাদের মেহেরপুরের হিমাগর আমের দেশের ও বিদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর এর উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ চেষ্টার পর কোন জেলার অভিযোগ না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি মিলেছে, রপ্তানি থেকে শুরু করে দেশের বাজারেও কদর বাড়বে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের। জেলায় ২ হাজার ৩শ৬৬ হেক্টর আমের বাগান রয়েছে। এরমধ্যে হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে এক হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে।
আলীম