পাবনার ফরিদপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টের বৃষ্টিস্নাত ফাইনাল দেখলেন হাজারো দর্শক

উৎসবমুখর পরিবেশে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় বার্ষিক ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর জমজমাট ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে উপজেলার জন্তিহার অগ্নিশিখা সংঘের খেলার মাঠে এ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান জ্যোতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, খেলা উপলক্ষে জন্তিহার গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাঠকে বর্ণিল রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় খেলা দেখতে মাঠের চারপাশে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। দর্শকের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

জন্তিহার অগ্নিশিখা সংঘের আয়োজনে ফাইনালে আনন্দ সংঘ (গাজীপুর) ফুটবল একাদশ ২-০ গোলে কিশোর ফুটবল একাডেমী (রাজশাহী) একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

জন্তিহার অগ্নিশিখা সংঘের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন ভুঁইয়া'র সভাপতিত্বে ও  বৃলাহিড়ীবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবু যুবাইর হেলালের তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে প্রাইজমানি তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন টিমকে ৮০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও রানারআপ টিমকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে পাবনার পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলম খান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তা এস এম রাশেদ ইবনে আকবর, নির্বাচন অফিসার কে এম তৌহিদুল ইসলাম পান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন, পাবনা জেলা রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্য তুষার সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, ফজলুল হক ও নূর মোহাম্মদ খান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান জ্যোতি তার বক্তব্যে বলেন, তরুণ ও যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষায় খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। গ্রামের মানুষের কাছে ফুটবল এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। 

উভয় দলের তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে হাজার হাজার নারী-পুরুষ শিশুসহ সব বয়সী দর্শক সমাগম হয়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম হাসান বলেন, শিক্ষার হার প্রায় শতভাগ হওয়ায় আমাদের এলাকায় সবাই সচেতন। নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।