ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শাজাহানপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত সাড়ে ৫৭ হাজার পশু

আব্দুল কাইয়ুম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, শাজাহানপুর, বগুড়া

প্রকাশিত: ২২:১৭, ৩১ মে ২০২৫

শাজাহানপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত সাড়ে ৫৭ হাজার পশু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৪৫৩টি কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু। যা উপজেলার চাহিদার তুলনায় ১ হাজার ৭৯৩টি বেশি।

উপজেলার শতাধিক বাণিজ্যিক পশু খামার এবং প্রান্তিক কৃষকের বাড়ি বাড়ি দেশি-বিদেশি জাতের ষাঁড় গরু, বলদ, গাভী, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কেউ কেউ শখের বসে সামান্য সংখ্যক দুম্বা ও গাড়লও পালন করেছেন।

তবে পশুখাদ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে খামারিরা এবার পশুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। মাঝিড়া এলাকার প্রান্তিক খামারি আব্দুল বারী জানান, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি ফলে প্রতিটি গরুর পালনে অনেক খরচ ও পরিশ্রম করতে হচ্ছে। কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসছে তাই ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। 

শাজাহানপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৫৫ হাজার ৬৬০টি। বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ৫৭ হাজার ৪৫৩টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ১৯ হাজার ৮৪০টি ষাঁড় গরু, ৩ হাজার ১২৪টি বলদ, ২ হাজার ১৭৮টি গাভী, ২৮ হাজার ৯২৬টি ছাগল এবং ৩ হাজার ৩৮৫টি ভেড়া।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ আহমেদ খান জানান, উপজেলায় অবস্থিত ২টি স্থায়ী এবং ৯টি অস্থায়ী পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে। পশু মোটাতাজাকরণে মানব ও প্রাণির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করার বিষয়ে খামারিদের সচেতন করা হয়েছে। এছাড়া হাটগুলোতে কোনো পশু আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের একটি বিশেষ টিম প্রস্তুত থাকবে।

রাজু

×