
ছবি: সংগৃহীত।
রুহি নামের ৪ বছরের এক কন্যা শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভেতরে ফেলে রাখে তার সৎ মা। এমনই এক মর্মান্তিক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাটের কালাইয়ে।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রুহি (৪) কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের কন্যা।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। তার প্রথম স্ত্রী পাশেই বাবার বাড়িতে বসবাস করে। মেয়ে রুহি তার মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত।
গত ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর মায়ের কাছে ফিরেনি। রুহির কথা জানতে চাইলে রুহির চাচা ও সৎমা জানায় তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা। পরেরদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে (২৫ মে) কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা।
এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়া কসাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করে তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎমা), রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকি ভেতরে ফেলে দিয়েছে। এরপর গতকাল শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রুহির মরদেহ উদ্ধার করে।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ইতোমধ্যেই তার মা বাদী হয়ে তাদের তিনজনের নামে একটি হত্যা মামলার দায়ের করেছেন বলেও জানায় পুলিশ।
মিরাজ খান