
দৈনিক জনকণ্ঠ
মুন্সীগঞ্জের চরকেওয়ারে বাঘাইকান্দিতে বাকি টাকা চাওয়ায় দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখমের দুইদিন পর শুক্রবার দুপুরে ঢাকার হাসপাতালে মারা গেছেন মুদি দোকানদার মাহিম সরকার (২০)। পুলিশ এর আগেই প্রধান অভিযুক্ত একই গ্রামের
নাঈম শিকদারকে (২৬) গ্রেফতার করেছি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম সাইফুল আলাম জানান, দুপুরে গ্রামটিতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন নাঈম শিকদারের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে থাকা নাঈমের মা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ধারে ফেলে। পরে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় নাঈমে মাকে উদ্ধার করে এনে সেভ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে মাহিমের মরদেহ সুরতহাল রিপোর্টের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্তের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাঘেকান্দি গ্রামে এখন উত্তেজনা করছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
নিহত মাহিম সরকার বাঘাইকান্দির সবুজ সরকারের পুত্র। আর গ্রেফতারকৃত নাঈম শিকদার গ্রামটির মৃত রহমান শিকদারের পুত্র। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নিজের মুদি দোকানে ঘুমিয়ে থাকা মাহিম ডেকে তুলে গত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে নাঈম সরকার দুইটি সিগারেট নেয়। এই সময় টাকা পরিশোধ না করে চলে যাচ্ছিল।
এই নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে পরদিন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোন দিয়ে মাহিমকে বাবাসহ তার বাড়িতে যেতে বলে নাঈম। দুপুর ৩টার দিকে বাবাকে নিয়ে নাঈমের বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তায় ধারালে ছুরি নিয়ে আকস্মিক আক্রমণ করে। বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা পাঠায়। পরে বেসরকারি একটি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান মাহিম ।
ওসি জানান, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতেপ্রধান অভিযুক্ত নাঈম সরকারকে (২৬) বাঘাইকান্দি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাহিমের পিতা সবুজ সরকার বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে ওই দিনই সদর থানায় মামলা করে। তবে এই ঘটনার সহযোগী নাঈমের ভগ্নিপতি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওসি জানান, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হত্যার চেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
হ্যাপী