
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিনে অস্বাভাবিক জোয়ার ও টানা বৃষ্টিপাতে দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার শতাধিক ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উঁচু হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করায় বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দ্বীপের চারপাশে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে নোঙরে থাকা একাধিক মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, “বৈরী আবহাওয়ায় দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গলাচিপা, কোনাপাড়া ও দক্ষিণপাড়া এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে আবারও ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে।”
তিনি আরও জানান, রাতে হালকা বাতাস থাকলেও হোটেল-মোটেল ও বিএন স্কুলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে।
এদিকে, টানা চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের নৌযান চলাচল। ফলে দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা বলেন, “পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় ঢুকে পড়েছে সাগরের পানি। চারপাশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে, অনেক পরিবার এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, জনপ্রতিনিধিরা মাঠে কাজ করছেন। এখনো সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। পরিস্থিতি অবনতি হলে লোকজনকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে পণ্যবাহী ট্রলারগুলো চারদিন যাবত সেন্টমার্টিনে যেতে পারেনি। ফলে খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দ্রুত পণ্য সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে।”
মিমিয়া