
সরকারি কর্মচারী না হওয়া সত্ত্বেও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে প্রায় দুই মাস ধরে নিয়মিত কাজ করছেন দুই ব্যক্তি। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ওই দুই ব্যক্তিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে লিখিত মুচলেখা দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সোহেল রহমান। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, সংবাদ প্রকাশের পর গত সোমবার (২৬ মে) জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন তদন্ত করেন। এসময় তিনি কুষ্টিয়া জেলার শাওন ইসলাম ও বগুড়া জেলার শাকিল আহম্মেদ রকিকে নামে দুই বহিরাগতকে অফিসে কাজ করানোর সত্যতা পান। তবে ওই দুই জনকে তখন অফিসে পাওয়া যায়নি। এর আগেই তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পরবর্তীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রহমান বহিরাগতদের দিয়ে অফিস করাবেন না মর্মে জেলা কর্মকর্তার কাছে লিখিত মুচলেখা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে চাকুরির নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল রহমান গত বছরের ডিসেম্বর মাসে যোগদান করার পর নিজ ক্ষমতাবলে কুষ্টিয়ার শাওন ইসলাম ও বগুড়ার শাকিল আহম্মেদ রকিকে চিলমারীতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই তাদের দিয়েই অফিসের দাপ্তরিক কাজ এবং প্রকল্পের দেখাশোনা করানো হচ্ছিল।
নুসরাত