ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাটহাজারীর গরুর বাজারে আলোড়ন তুলেছে ‘ডন বাদশা’

মো: মুরসালিন চৌধুরী, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম 

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২৮ মে ২০২৫

হাটহাজারীর গরুর বাজারে আলোড়ন তুলেছে ‘ডন বাদশা’

ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী গরুর বাজারে এবার ঈদুল আজহার আগে নজর কেড়েছে এক ব্যতিক্রমী গরু — যার নাম ‘ডন বাদশা’। হাটে আগত হাজারো মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই বিশাল দেহের গরুটির মালিক হলেন হাটহাজারীরই খামারি মো. ফজলুল রহমান রাশেদ।

ফজলুল রহমান জানান, গত দুই বছরে এমন বিশাল আকারের গরু হাটহাজারীর বাজারে আর দেখা যায়নি। তার দাবি, ‘ডন বাদশা’ এইবারের বাজারের সবচেয়ে বড় গরু এবং তা ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আকৃতিতে যেমন বিশাল, তেমনি এর পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যবিধিও অত্যন্ত উন্নত।

গরুটি দেখতে আসা অনেক ক্রেতা ও দর্শনার্থী জানান, এমন সুস্থ ও মোটা-তাজা গরু খুব কমই দেখা যায়। গরুর গায়ে রয়েছে সুস্পষ্ট সাদা-কালো রঙের বিন্যাস, যা একে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। গরুটির ওজন ও মূল্য নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও খামারি রাশেদ জানিয়েছেন, তিনি ন্যায্য দামেই এটি বিক্রি করতে আগ্রহী।

মো. ফজলুল রহমান রাশেদ শুধু এই একটি গরু নয়, বরং পুরো কোরবানির মৌসুমজুড়েই তার খামার ছিল সরব। ঈদুল ফিতরের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বিক্রি করেছেন ২৫০টিরও বেশি গরু, যা স্থানীয় বাজারে তার খামারটির জনপ্রিয়তা ও সুনামের স্পষ্ট প্রমাণ।

তিনি জানান, তার খামারের গরুগুলো প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয় এবং কোনো ধরনের ইনজেকশন বা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটা করা হয় না। তাই তার খামারের গরুগুলো স্বাস্থ্যবান, নিরাপদ এবং ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম।

‘ডন বাদশা’ এইবার কোরবানির হাটের মুখ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলেও এর পেছনে রয়েছে একজন পরিশ্রমী খামারির অধ্যবসায় ও ভালোবাসা। দেশের খামারিরা যদি এমন আন্তরিকতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পশু লালন-পালন করেন, তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশেই গরু চাষে স্বনির্ভরতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

নোভা

×