
ছবি : জনকণ্ঠ
জামালপুরের মেলান্দহে নাংলা ইউনিয়নের চিনিতোলা,হরিপুর,পাথালিয়া ভাটিপাড়া গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের তৈরি ভাঙ্গা সাঁকো। কিন্তু, সাঁকোটি এখন সচল নয়। নড়বড়ে, ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁশ ভেঙ্গে পড়ছে, বাধঁনগুলো পঁচে গেছে। দিনের বেলা কোনো রকম ভয়ে ভয়ে পাড় হওয়া গেলেও রাতের আধাঁরে পাড় হওয়া হয়ে উঠে মারাত্বক বিপদজনক!
সাঁকোটির উপর দিয়ে দৈনিক জীবন জীবিকার তাগিদে হাজার-হাজার মানুষ যাতায়াত করে।এদের মধ্যে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু, বৃদ্ধ মানুষ, স্কুল কলেজ পড়ুয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও হাটুরে মানুষ।
স্কুল শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন,ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। বৃষ্টি ও বন্যার সময় আরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের চলাচলের রাস্তা বাঁশের সাঁকোকে একটি পুর্ণাঙ্গ সেতুর ব্যবস্থা করে দেয়।এটা এখন সাধারণ মানুষের জোড়ালো দাবি।
জানা যায়, ২০০৮ সালে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের অন্তর্গত চিনিতোলা গ্রামের মাদারদহের উপর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে চিনিতোলা, হরিপুর, পাথালিয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ গমনাগমনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠে সাঁকোটি। এরমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বেশ কয়েকবার মেরামত করা হলেও বর্তমানে সাঁকোটির নাজুক অবস্থা। এর উপর দিয়ে যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলের এ দুর্ভোগ নিরসনে সাঁকোটির অবকাঠামো পরিবর্তন করে এখানে একটি পাঁকা ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর এলাকাবাসী ।
এমন দাবি প্রক্ষিতে গত সপ্তাহে সাঁকোটি পরিদর্শন করেছেন, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এস.এম আলমগীর জনকন্ঠকে বলেন,বাঁশের সাকোঁ পরিদর্শন করেছি। সাকোঁর জায়গায় একটি ফুটব্রিজ নির্মাণ করা যায় কিনা? তা খতিয়ে দেখতে আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।
এব্যাপারে নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কিসমত পাশা বলেন, চিনিতোলা গ্রামের সেই বাঁশের সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সে দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। কিন্তু, আজোবদি সে দাবি পূরণ হয়নি। এবার আশা করা যাচ্ছে দাবি পূরণ হবে।
আঁখি