
মো.মজিবর মল্লিক—মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার একজন সাধারণ বাসিন্দা। প্রতিদিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেল চালিয়ে আবার কখনো পায়ে হেঁটে পত্রিকা বিলি করেন তিনি। সামান্য এই আয় দিয়েই চলত সংসারের চাকা। তবে তার জীবনে এখন বিপদসংকুল সময় চলছে।
অভাবে-অনটনে অসুস্থ স্ত্রী এবং নিজের চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তিত এই পত্রিকা হকার। অন্যের খবর মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিলেও নিজের জীবনযাত্রার খবর জানা নেই এই মধ্যবয়সীর।
ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২৫ বছর ধরে এই কঠিন পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন মজিবর। তবে বর্তমানে তার জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। একসময় উপজেলার সকল দপ্তরে পত্রিকা বিক্রি করলেও এখন কেবল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পত্রিকা রাখে। পত্রিকার বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় চলে গেছেন।
এই উপজেলার পত্রিকা বিক্রেতা মো. মজিবর মল্লিক জানান- উপজেলায় আগে ৮জন হকার ছিল, বর্তমানে ৪জন। ৪ জনের পরিবারই অসুস্থ। আমি অসুস্থ। আমার স্ত্রীও অসুস্থ্য। সামান্য এ আয় দিয়ে সরকার চালানো মুস্কিল। প্রতিদিন নুন্মতম ১৫শ টাকার ঔষধ লাগে আমার স্ত্রী ও আমার জন্য। অন্যদিকে তো সংসার। জীবন খুবই কঠিন। আগের মতো পত্রিকা বিক্রি করতে পারি না। এক সময়ে উপজেলার সকল দপ্তরে পত্রিকা ক্রয় করত। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পত্রিকা রাখে মাত্র। দিনদিন পত্রিকা বিক্রিতে ধস নামায় অনেকে এই পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় চলে গেছে। আমাদের উপজেলায় বাকি ৩জন হকারের পরিবারও অসুস্থ। আমরা চাই সরকার আমাদের পাশে দাড়াবে। আর্থিক সহযোগিতা করবে।
সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ রইল যাতে পত্রিকা প্রতিটি সরকারী দপ্তরে প্রতিটি অফিসে ক্রয়ের ব্যবস্থা করে দেন বা নির্দেশ দেন। এতে করে পত্রিকা বেশি বিক্রি হবে আমাদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। সংসার চালাতে সুবিধা হবে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পত্রিকা বিতরনকারীদের মানবেতর জীবন খুবই কস্টের। আমি খোজ নিয়ে তাদের পাশে দাড়ানোর চেস্টা করব।
নোভা