
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কারসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা “এ মুহূর্তে দরকার, ফোকলোর বিভাগ সংস্কার”, “সিন্ডিকেট না, মুক্তি মুক্তি”, “আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে”, “আপোষ নয়, সংগ্রাম সংগ্রাম”—এই স্লোগানগুলো দেন।
তাদের তিন দফা দাবি হলো:
১. বিভাগের স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিভাগটির নাম সংস্কার করতে হবে।
২. পিএসসি এবং ইউজিসিতে বিভাগের হালনাগাদ নাম যুক্ত করে নির্দিষ্ট কোড প্রদান করতে হবে।
৩. একাডেমিক নিয়মানুযায়ী সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
বিভাগের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তাঁরা একমত এবং গত ২০ মে বিভাগের একাডেমিক কমিটির ৪১৫তম সভার ৮ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে এবং পরে পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করা হবে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের দাবিতে কালক্ষেপণ চলবে না। দাবি মেনে নেওয়া না হলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না।
এ বিষয়ে বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা আঞ্জুম বলেন, আমরা ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার করে আধুনিক মানসম্পন্ন নামকরণ, পিএসসি'র কোডিং সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি এবং দ্রুত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অনশনে বসেছি। দাবি মানা না হলে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থী নিলয় দে সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষকরা বলছেন আমাদের দাবি মানা হবে, কিন্তু কবে হবে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। আর কালক্ষেপণ নয়, আমরা দ্রুত অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবন
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ২০ মে রিভিউ কমিটি গঠন করেছি। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় তা উপস্থাপন করব এবং প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তবে এ বিষয়ে অনেকগুলো প্রশাসনিক ধাপ জড়িত থাকায় শিক্ষার্থীরা যেভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত চাচ্ছেন, তা সম্ভব নয়।
অনশন কর্মসূচিতে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
মিমিয়া