ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেড় শতাধিক রাজনীতিবিদ ॥ দুদকের জালে শেখ হাসিনাসহ

নিয়াজ আহমেদ লাবু

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ১৭ মে ২০২৫

দেড় শতাধিক রাজনীতিবিদ ॥ দুদকের জালে শেখ হাসিনাসহ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতিবাজদের ধড়পাকড়, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযান, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। গত ৮ মাসে আলোচিত প্রায় দেড় শতাধিক সাবেক শীর্ষ আমলা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ব্যবসায়ী, পুলিশের অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে সংস্থাটি।

ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে অবস্থান করা এসব দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, সরকারি অর্থ লোপাটকারী ও ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছে। 
এ ছাড়া দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এরকম ৭০ জন পাচারকারীর নাম চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলে দুদকের জালে পড়ার ভয়ে অনেকে গোপনে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অনেকে আছেন আতংকে।
এ ব্যাপারে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, গত আট মাসে দুদক যে পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করেছেন। তার পরিমাণ বিপুল। অতীতে এত অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের রেকর্ড নেই। এমনকি অনেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। তিনি জানান, দুদকের বিভিন্ন ইউনিটে এসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজ করছে। 
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া প্রায় এক লাখ কোটি টাকার খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এসব টাকা পাচারের পেছনে রয়েছেন সাবেক ৩১ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ীসহ দেড়শতাধিক। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ৭১টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ও বিদেশে অবস্থান করা দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, সরকারি অর্থ লোপাটকারী ও ঋণখেলাপিসহ অন্তত দেড় শতাধিক শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

অথচ ২০২৪ সালে যা ছিল মাত্র ৩৬১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় তিন হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় তিন হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যা গত ৮ মাসে সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। দুদকে দায়ের হওয়া বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় এসব সম্পদ ক্রোক বা অবরুদ্ধ করা হয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান।
গত সেপ্টেম্বর থেকে দুর্নীতির অভিযোগে ২৫০ জনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১০০ জনেরও বেশি দেশ ছেড়েছেন। দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ। যা মেনে চলতে হবে।
আদালত ও দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের ভেতরে প্রায় ১২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে দুদক। এ সময়ের মধ্যে আদালতের আদেশে ৭৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৩ টাকা অবরুদ্ধ করেছে সংস্থাটি।

অপরদিকে দেশের বাইরে ১২০ কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৮ টাকা মূল্যের সম্পদ ক্রোক এবং ৪৫ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৪১৯ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।এমনকি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে৭১টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদকের ব্যবস্থাপনা ইউনিট ক্রোক বা অবরুদ্ধ করা সম্পদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করে। ২০১৯ সাল থেকে কমিশনের স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে ওই ইউনিটের অধীনে ২০২৪ সালে আদালতের আদেশে ১৭০ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৩৩ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ১১ হাজার ১৪০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। 
২০২৩ সালে ২৮৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ ক্রোক এবং ১৩২ কোটি এক লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।
২০২২ সালে ৫৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ২২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকা ও ২৭ হাজার ৯৫৪ মার্কিন ডলার অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২১ সালে ৩২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং এক হাজার ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৮০ টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (পাউন্ড, কানাডিয়ান ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার) অবরুদ্ধ করা হয়।

২০২০ সালে আদালতের আদেশে ১৮০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৫২ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।
শেখ হাসিনা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ীসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে ৩৯৪ কোটি টাকা ফ্রিজ ॥ দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারসহ শতাধিক ব্যক্তির এক হাজার ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৮১৭ কোটি ১৪ লাখ।

অবরুদ্ধ করা হয়েছে আট হাজার ৭১৩ কোটি টাকার শেয়ার, ৬৬০ গ্রাম সোনা, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নয়টি বিও হিসাবে নয় কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা স্থিতি। ব্যাংক স্থিতি সাত লাখ ১৩ হাজার ডলার ও ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮০ ইউরো। সবমিলিয়ে গত আট মাসে ক্রোক ও অবরুদ্ধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকারও অনেক বেশি।
 ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ১৯১ একর জমি, বিদেশে ৫৮২টি ফ্ল্যাট, দেশে ২৮টি বাড়ি, ৩৮টি ফ্ল্যাট, ১৫টি প্ল­ট, ২৩টি গাড়ি, ২৩টি কোম্পানির আট লাখ ৮৮ হাজার ডলার, ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৪৮০ ইউরো, তিনটি কোম্পানি ও তিনটি জাহাজ। 
এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, শিকদার গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ ও সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী-এমপি, আমলা ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানসহ অন্তত দেড় শতাধিক ও প্রতিষ্ঠানের নাম।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া লাখ কোটি টাকার খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।এসব টাকা পাচারের পেছনে রয়েছেন সাবেক ৩১ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। এদের মধ্যে আটজন মন্ত্রী, ছয়জন প্রতিমন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রী এবং ১৬ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন।

তারা হচ্ছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক উপমন্ত্রী ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অপরদিকে খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, সাবেক হুইপ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী অপু উকিল, সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, শাহ আলম তালুকদার, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ডা. মনসুর রহমান, মো. আবুল কালাম আজাদ, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), সাইফুজ্জামান শিখর, তানভীর ইমাম, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। 
এ ছাড়া অনুসন্ধান শুরু হয়েছে আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ চার সাবেক এমপি, সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীসহ অনেকের বিরুদ্ধে। 
ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এস আলমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আর চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বাড়ি রয়েছে এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধানে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স রিকোয়েস্ট’ (এমএলএআর) করেছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ১২ দেশে ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ৪৫৯ জন বাংলাদেশী। তারা সেখানে ৯৭২টি প্রপার্টি কিনেছেন। এদের মধ্যে ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের লিডার রাম প্রসাদ ম-লের সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্নসহ সব প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। চিঠিতে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থের মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে।
দুদকের আমূল সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি জানান,  দুদক যেটা করছে সেটা হচ্ছে, যারা শুধু ক্ষমতার বাইরে থাকে তাদের বিষয়ে একটা মুখোশ দেখাচ্ছে।

নিজেদের যে ব্যর্থতা, অপারগতা, ক্ষমতাসীনদের দলীয় রাজনীতিতে প্রভাবিত হয়ে যে জিম্মিদশা, সেই অকার্যকারিতা ঢাকার জন্য লম্ফঝম্প করছে দুদক। তাদের কার্যক্রমে লোক দেখানোটাই প্রাধান্য পাচ্ছে। অচিরেই তা দূর করা হবে। দুদককে ঢেলে সাজানো হবে।

×