ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্রমিক সংকটে ভোগছেন ইসলামপুরে কৃষক

এস এ রকিব, নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামপুর, জামালপুর

প্রকাশিত: ২১:০১, ১৭ মে ২০২৫

শ্রমিক সংকটে ভোগছেন ইসলামপুরে কৃষক

চলতি অর্থবছরে বোরো ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। তারপরও জামালপুরের ইসলামপুরে হতাশার ছায়া কৃষকের মুখে। ধান পেকে যাওয়ায় সবাই কাটা শুরু করেছেন। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র শ্রমিক সংকট। এক মণ ধানেও মিলছে না একজন শ্রমিক। ফলন ভালো হলেও মজুরির কারণে লোকসান গুনতে হতে পারে বলছেন কৃষকরা। টানা বৃষ্টি শুরু হলে ফসল ঘরে তুলতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে, এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

কদিন আগেও শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ছিল ৬০০-৭০০ টাকা। বর্তমানে মজুরি বেড়ে হয়েছে ৯০০-১০০০ টাকা। এরসঙ্গে যুক্ত রয়েছে দুইবেলা খাবার, চা-নাশতা ও এককেজি চাল। আবার একটু বৃষ্টির দেখা দিলে মজুরি হাজার টাকাতেও মেলে না। অথচ তার বিপরীতে একমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার কবির বলেন, ‌‘এবার ফলন ভালো হলেও শ্রমিক মজুরি বেশি হওয়ায় লোকসান হতে পারে। ধান চাষে আমাদের উদ্বুদ্ধ করতে একটা ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে। তা নাহলে অনেকেই নিজের প্রয়োজনের বেশি ধান চাষ করবেন না।’

উপজেলার দেলিরপার গ্রামের বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘১০০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছি। শ্রমিকের মজুরি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু ধানের দাম মণ ৮০০-৯০০ টাকা।’

ইসলামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ,এল,এম রেজুয়ান জানান, এবার ১৭ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অর্জন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপজেলার চারদিকে ধান পেকে আসছে। নিম্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে।

শ্রমিক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একযোগে মাঠে ধান পেকে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। সব কৃষক ক্ষেত থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত থাকায় শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন। তবে এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে।

রাজু

×