ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পুশইন নিয়ে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৭ মে ২০২৫

পুশইন নিয়ে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী  জানান, ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের ঘটনা কিছু নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকায় ঘটছে। এর মধ্যে সিলেটের বিয়ানিবাজার, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রৌমারি ও চর এলাকা এবং চট্টগ্রামের কিছু প্রত্যন্ত জনবসতিহীন অঞ্চল উল্লেখযোগ্য।

 

 

তিনি বলেন, “এই ধরনের পুশ-ইন প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের সীমান্ত এলাকা অনেক বিস্তৃত, ফলে প্রতিটি স্থানে সার্বক্ষণিক নজরদারি কঠিন। এজন্য আমরা পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় জনগণের সহায়তা নিচ্ছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিজিবি’র টহল এবং নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনবল ও গোয়েন্দা তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে।

 

 

 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, "স্থানীয় জনগণ যদি সজাগ থাকে এবং কারো সন্দেহজনক গমনাগমন বা পুশ-ইনের খবর আমাদের জানায়, তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি।"

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল অঞ্চলে কিছু পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে সেসব বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

 

 

 

মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান বলেন, “যারা বাংলাদেশি নাগরিক এবং পূর্বে কোনোভাবে ভারতে গমন করেছে, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটি অনুসরণ করলেই দুই দেশের জন্যই ভালো হবে।”

তিনি জানান, অনেকেই ২০-৩০ বছর আগে ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করেছে এবং তাদের সন্তানরাও সেখানেই জন্মগ্রহণ করেছে। এ কারণে নাগরিকত্ব নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সমন্বয় করলে সমস্যাগুলোর সমাধান সহজ হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

 

 

চোরাচালান প্রতিরোধে সুন্দরবন এলাকায় বিজিবি’র কার্যক্রম প্রসঙ্গে মহাপরিচালক জানান, “আমরা রায়মঙ্গল নদীর সংলগ্ন বয়াসিং চ্যানেলে একটি নতুন ভাসমান বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) স্থাপন করেছি। এটি আমাদের দেশে তৈরি, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে নির্মিত হয়েছে এবং আজ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা উদ্বোধন করেছেন।”

তিনি জানান, নতুন ভাসমান বিওপি স্থাপনের ফলে চোরাচালান প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

 

মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্তমান পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সীমান্তে পুশ-ইন এবং চোরাচালানের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব হবে। তিনি দেশবাসীকে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
 

আঁখি

×