
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি হত্যা মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের পাকা বোরো ধান কেটে নিয়েছে বাদীপক্ষের লোকজন। শুক্রবার (১৬ মে) উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের দুই ছেলে দুলাল মন্ডল (৭০) ও হেলিম মন্ডল (৪৩) এবং দুই মেয়ে হামিদা (৫৫) ও তাহমিনা (৪৫)। গত ২ এপ্রিল বুধবার সকালে ছোট ভাই হেলিম মন্ডল বোনের সীমানায় থাকা গাছ কাটতে যান। এসময় বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি বাঁধলে বড় ভাই দুলাল মন্ডল ফেরাতে যান। একপর্যায়ে বড় বোন হামিদা তাকে ধাক্কা দিলে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় দুলাল মণ্ডলের বড় ছেলে আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দুই ফুফুসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তবে ভাই-বোনের মাঝে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে আশকর আলী (৬৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে, আসামিপক্ষের লোকজন পালিয়ে থাকার সুবাদে বাড়িঘরে লুটপাট করে ও হুমকি দেয় বাদীপক্ষের লোকজন। শুক্রবার বন্ধকি রাখা জমিতে হামিদার রোপিত পাকা বোরো ধানক্ষেত কেটে নিয়ে যায় নিহত দুলাল মণ্ডলের স্ত্রী ও কন্যা। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নবী হোসেন তাদের নিষেধ করলেও ওই নিষেধ উপেক্ষা করে ৭ কাঠা জমির পুরো ধান কেটে নিয়ে যায় বাদীপক্ষ।
মামলার বাদীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে পারভীন জানান, নিহতের রেখে যাওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ওই জমির ধান কেটে নিচ্ছেন তারা। জমিটি ভাই-বোনের যৌথ ছিল বলেও দাবি করেন তারা।
আসামীপক্ষ হামিদার নাতি সিয়াম জানায়, শুক্রবার সকালে তার নানির জমি থেকে বাদীপক্ষ ধান কেটে নিয়ে যায়। বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মামলা ও গ্রেফতারের ভয় দেখায় বাদীপক্ষ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নবী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে বাদীপক্ষকে ধান কাটতে নিষেধ করেছি।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, ধান কেটে নেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সজিব