ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫, ৩১ চৈত্র ১৪৩২

নীলফামারীতে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের ১৩ বছরের সাজা

তাহমিন হক ববী,স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৪ মে ২০২৫

নীলফামারীতে  অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের ১৩ বছরের সাজা

নীলফামারীতে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় রফিকুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবকের দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৪মে) বিকাল সারে ৪টার দিকে  নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ,বি,এম গোলাম রসুল ওই আদেশ প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই মসজিদপাড়া গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বছর। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে ২০১৯ সালের প্রথম দিক থেকে প্রতিবেশি ১২ বছরের ওই স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন রফিকুল ইসলাম। এরই এক পর্যায়ে একই বছরের ৭ আগস্ট  সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়িতে একা পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা কলিম উদ্দিন  আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করায়। সেই মামলার মামলাটির দীর্ঘ শুনানী শেষে ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলামকে শিশু আইন ২০১৩ এর ৩৪ (১) ধারা বিধান মতে নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় তিন বছর এবং একই আইনের ৯(১) ধারায় ১০ বছরসহ মোট ১৩ বছরের আটকাদেশ প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পিপি গোলাম মোস্তফা সজীব  বলেন,‘ মামলার বাদির কন্যার অপহরণসহ ধর্ষনের ঘটনায় তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন।  দীর্ঘ ছয় বছর তিনি আইনের  প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মোট ১৬ জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করেছেন। আমরা রাষ্ট্র পক্ষে ১৬ জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করে এই মামলার সত্যতা প্রমানে সক্ষম হয়েছি।

সাব্বির

×