
ছবি : সংগৃহীত
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা জবাবে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সফল সমাপ্তির পর দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। এই অভিযানে তাঁর নেতৃত্ব, পেশাদারিত্ব এবং দৃঢ় কণ্ঠস্বর জাতির সামনে নতুন এক সেনা নেতার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে।
অভিযান-পরবর্তী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্নেল কুরেশি, উইং কমান্ডার ভিওমিকা সিং এবং পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি—তিনজনেই ভারতের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা নীতির কঠোর অথচ সংযত অবস্থান তুলে ধরেন। কর্নেল কুরেশির সুসংগঠিত ও দৃঢ় বক্তব্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয় দেশব্যাপী।
তবে কর্নেল কুরেশির এই অবদান একদিনে গঠিত নয়। তাঁর রক্তেই প্রবাহিত হচ্ছে বিপ্লব ও বীরত্বের উত্তরাধিকার।
২০১৭ সালের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে পুনরায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কর্নেল কুরেশি তুলে ধরেন তাঁর পারিবারিক ইতিহাস। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর প্রপিতামহী ছিলেন ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের এক সাহসী নারী যোদ্ধা, যিনি রানী লক্ষ্মীবাইয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন।
“আমি একজন ফৌজি পরিবারের সন্তান,” বলেন কর্নেল কুরেশি। “সেনাবাহিনীর পরিবেশেই বড় হয়েছি। শুধু তাই নয়, আমার প্রপিতামহী ছিলেন এক সাহসিনী, যিনি জাতির জন্য যুদ্ধ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার দাদু সবসময় বলতেন— ‘দেশের প্রতি কর্তব্যই একজন নাগরিকের প্রথম দায়িত্ব।’ আমি সেই আদর্শেই চলার চেষ্টা করি।”
বংশগত এই বিপ্লবী উত্তরাধিকার এবং আধুনিক নেতৃত্ব গুণ কর্নেল কুরেশিকে জাতির কাছে এক অনন্য প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলেছে। তিনি হয়ে উঠেছেন ইতিহাস ও আধুনিক ভারতের মধ্যকার সেতুবন্ধন, এক নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা।
আঁখি