ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

পরিত্যক্ত হয়ে আছে বিসিকের লবণ প্রদর্শনী খামার

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১০ মে ২০২৫

পরিত্যক্ত হয়ে আছে বিসিকের লবণ প্রদর্শনী খামার

বিসিকের লবণ প্রদর্শনী খামার কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কুতুবদিয়ায় লেমশীখালী মৌজায় অবস্থিত ১১৩ একর বিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ এই লবণ প্রদর্শনী খামারটি চলতি মৌসুমে সম্পূর্ণ অযত্ন-অবহেলায় এভাবে খিলা রেখে দেওয়ায় সরকারকে গচ্ছা গুনতে হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। এই ঘটনার জন্য দায়ী কে? তা খতিয়ে দেখার দাবি রাখেন সচেতন মহল।
দ্বীপের ঠিক মধ্য-পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেলের কুলঘেঁষে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত খামারে রয়েছে ২টি অফিস ভবন, ২টি গুদাম, ১টি পুকুরসহ অন্যান্য স্থাপনা। ষাটের দশক থেকে এখানে প্রতি মৌসুমে শ্রমিক নিয়োগ করে আধুনিক প্রযুক্তিতে লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রদর্শনী কাম উপজেলার সাধারণ মৌসুমি লবণচাষিদের যুগোপযোগী প্রযুক্তির ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন ‘বিসিক’। এখানে লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শনে-পদচারণা করতেন দেশী-বিদেশী-কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক,  গবেষক ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ দূর-দূরান্তের বহু মানুষ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ খামারটি লোকসান প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করে ৮/১০ বছর আগে থেকে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধকালীন মৌসুমভিত্তিক লবণচাষিদের মাঝে ইজারা দিয়ে আসছিল এই খামারটি। এতে করে কর্মসংস্থান হতো এলাকার কয়েকশ’ লবণচাষির। কিন্তু রহস্যজনক কারণে চলতি মৌসুমে এই বিশাল খামারটি ইজারা না দেওয়ায় বড় অঙ্কের ক্ষতি হলো সরকারের। বর্তমানে এখানে কোনো কার্যক্রম না থাকায় বিশাল আকারের খামার এলাকাটি ভবঘুরে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিউল আলম ও মলমচর এলাকার ব্যবসায়ী মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিনসহ অনেকে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে চলতি মৌসুমে ইজারা দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন লবণ শিল্পের উন্নয়ন বিষয়ক বিসিক কক্সবাজার অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ভূঁইয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার

×