ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে অতিরিক্ত বেতন আদায়,প্রশাসন নিরব

লিখন আহমেদ,নিজস্ব সংবাদদাতা,উল্লাপাড়া,সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ১০ মে ২০২৫

উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে অতিরিক্ত বেতন আদায়,প্রশাসন নিরব

ছবি: সংগৃহীত

উল্লাপাড়া উপজেলা সদরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের শিক্ষার্থীরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে নির্ধারিত বেতনের চেয়ে তিন গুন বেশী বেতন আদায় করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত বেতন আদায় করলেও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিরব ভুমিকা পালন করছে।

অতিরিক্ত বেতনের ফাঁদে শিক্ষার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা। অতিরিক্ত বেতনের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে কামরুন্নাহার নামে এক অভিবাবকের সাথে প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারী। এ ঘটনায় ওই অভিবাবক স্কুলের সভাপতি বরাবর অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।


জানা গেছে, বছরের শুরুতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উল্লাপাড়া উপজেলার সকল এমপিও নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন নির্ধারন করা হয়। এতে উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের বেতন ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যথাক্রমে ২০০, ২২০,২৪০ এবং ২৫০ টাকা নির্ধারন করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই মাস নির্ধারিত বেতন গ্রহণ করলেও পরবর্তী সময়ে তারা নির্ধারিত বেতন নিতে অসম্মতি জানান। নির্ধারিত বেতন ২০০ টাকা হলেও অভিবাবকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বেতন হিসেবে ৭০০ টাকা নেয়া হয়। অতিরিক্তি বেতন নেয়ায় অভিবাবকসহ সচেতন মহলের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

 
আলী আশরাফ কামরুন্নাহার রাজিয়া সহ কয়েক অভিবাবক বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বিজ্ঞান স্কুলের বেতন নির্ধারন করে দেয়া হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম দুয়েকমাস সে অনুপাতে বেতন নিলেও এখন আর নিচ্ছে না। আমরা অতিরিক্ত বেতন দিতে অসম্মতি জানালে আমাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে আমাদের সাথে স্কুলের দারোয়ান পিওনরা খুবই বাজে আচরণ করেন। আমরা চাপে পড়ে অতিরিক্ত বেতন দিতে বাধ্য হচ্ছি।


এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত বেতন নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতনের ঘাটতি পুরণ করতে শিক্ষার্থীদের থেকে এই অতিরিক্ত বেতন নেয়া হচ্ছে।
স্কুলের সভাপতি উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আতাউর বিষয়টি নিয়ে আগামি সোমবার স্কুলের শিক্ষকদের সাথে মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, এ বিষয়ে আমাকে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবুও আমি স্কুলের সভাপতিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলবো।

আলীম

×