
ছবি: জনকণ্ঠ
ঢাকা মহানগর জামায়াতের ইসলামীর দক্ষিণের সেক্রেটারী ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, "আমি প্রবাসী জসিম ভাইয়ের জানাজা নামাজে বক্তব্য দিতে পেরেছি এ জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"
"আমি প্রবাসে মৃত জসিম ভাইয়ের স্বজনদের সাথে যখন কথা বলি তখন আমার মাঝে একটা শঙ্কা কাজ করছিল যে জসিম ভাইয়ের লাশ তার মাতৃভূমিতে আসবে কিনা? আমি তার একটি ছবি সংগ্রহ করে আমার ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেই। মালদ্বীপে আমাদের অনেক ভাই আছে। কারো না কারো নজরে পড়বেই।"
"আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, স্ট্যাটাস দেয়ার পর আমাদের প্রাবাসী এক ভাই যার কথা না বললেই না, মালদ্বীপের আলিফ অ্যাটল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও বাংলাদেশ ফোরাম মালদ্বীপের সভাপতি ডাক্তার এইচএম সোহেল ভাই আমাকে ফোন করে আশ্বস্ত করেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জসিম ভাইর লাশ দেশে পাঠানো হবে। তার উছিলায় গ্রামের লোকজন আজ জসিম ভাইয়ের লাশ সামনে রেখে জানাজা পারার সুযোগ পেয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে ডা. এইচএম সোহেল ভাইর জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন মানুষের সেবায় কবুল করেন।"
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের জানাজার নামাজের সময় এক ভার্চুয়াল বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন তার এক ছেলে মেহনাব, এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছেন। আজ তাকে কতো কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। তার বাবার জানাজা পড়ে লাশ দাফন করে তারপর তাকে পরীক্ষার হলে যেতে হবে। আমি তার জন্যও দোয়া করি যেন এই শোক সহ্য করে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেন।
"আমি শুনেছি জসিম ভাইয়ের জেরিন নামের একটি মেয়ে আছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন। আল্লাহ এই ভাতিজিকে যেন মানুষের মত মানুষ করেন আমি এই দোয়া করি", বলেন তিনি। ড. মাসুদ বক্তব্যের একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানাজায় উপস্থিত মুসল্লিদের জামায়াতের সাথে পাচঁ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।
উল্লেখ গত শনিবার মো. জসিম উদ্দিন মালদ্বীপে মারা যান। তার লাশ দেশে আনা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন স্বজনরা।
বিষয়টি জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসন জানতে পেরে তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিলে এক প্রবাসী চিকিৎসক তার লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আবীর