ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

কালের সাক্ষী নরসিংদী পলাশের শতবছরের পুরোনো লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি

সাইফুল ইসলাম, নরসিংদী

প্রকাশিত: ২০:২৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কালের সাক্ষী নরসিংদী পলাশের শতবছরের পুরোনো লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর এলাকায় অবস্থিত শতবছরের পুরোনো জমিদার বাড়িটি আজ ও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। নিপুন কারুকাজ বেষ্টিত বাড়িটি নির্মাণ করেন মোগল আমলের লক্ষণ সাহা নামে এক জমিদার। পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক ২৪ কক্ষ বিশিষ্ট এই জমিদার বাড়িটির পাশেই রয়েছে ছোট্ট আরেকটি কারুকার্য খচিত মন্দির, রয়েছে একটি অর্ধনির্মিত প্রাচীন বাড়ি। বাড়ির পেছনে রয়েছে গাছগাছালি যুক্ত বাগান। বাড়ি সহ বাগানের চারিদিকটা উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। রয়েছে সেই সময়ই তৈরি করা জমিদার বাড়ির সুন্দর একটি পুকুর আর সান বাধানো পুকুর ঘাট। পুকুরের পাশে পূঁজা করার জন্যে রয়েছে একটি বড় আকারের মোড। বিশাল আকৃতির এই জমিদার বাড়িটির বর্তমান মালিকানায় রয়েছে আহম্মদ আলী নামে এক উকিল। যার কারণে এই বাড়িটি উকিলের বাড়ি নামে পরিচিত।

জানা যায়, স্বাধীনতার পর জমিদার লক্ষণ সাহার নাতি বৌদ্ধ নারায়ন সাহা জমিদারের রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তি আহম্মদ আলীর কাছে বিক্রি করে বর্তমান নারায়নগঞ্জ জেলায় চলে যায়। আহম্মদ আলী স্ত্রীর নাম অনুসারে বাড়িটির নামকরণ করেন জামিনা মহল। মূলত আহম্মদ আলী সাহেব উকালতি পেশার সাথে সংযুক্ত ছিলেন বিধায় বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি উকিলের বাড়ি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বর্তমানে মোহাম্মদ আলীও নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করছেন। এদিকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়দের অভিযোগ জমিদারের রেখে যাওয়া এই বিশাল সম্পত্তিটি ছিল দেবোত্তর হিসেবে। সিদ্দিকুর রহমান নামে স্থানীয় এক প্রবিণ জানান, তৎকালীন ভারতবর্ষে এই এলাকাটি ছিল দেবোত্তর হিসেবে। মূলত দেবোত্তর বলতে বুঝায় ওয়াকফাহ্ জমি। ঐ সময়ে দেবোত্তর জমি হলে জামিদারকে খাজনা দেওয়া লাগতোনা। জমিদার লক্ষণ সাহার ছিল তিন ছেলে। নিকুঞ্জ সাহা, পেরিমোহন সাহা ও বঙ্কু সাহা। জমিদার মারা যাওয়ার পর তারা তিন ভাই এই সম্পত্তি দেখবাল করতেন। বঙ্কু সাহা ভারত ভাগের সময় এখান থেকে ভারতে চলে যান। পরবর্তিতে পাকিস্থান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হওয়ার কিছু পূর্বে নিকুঞ্জ সাহাও ভারতে চলে য়ায়। এক পর্যায়ে জমিদারের ছোট ছেলে পেরিমোহন সাহা এই সম্পত্তির দেখবাল করেন। পেরিমোহন সাহার বৌদ্ধ নারায়ন সাহা নামে এক ছেলে ছিল। পেরিমোহন সাহা মারা যাওয়ার পর বৌদ্ধ নারায়ন এই ওয়াকফাহ সম্পত্তিটি বিক্রি করে ফেলেন। তিনি আরো জানান, এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় ট্রাস্ট নামে একটি সংগঠন দেবোত্তরকৃত এই সম্পত্তিটি বিক্রি করার পর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা এখনো চলমান। 

ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ  সূত্রে জানা যায়, প্রাচীণ এই জমিদার বাড়িটি ডাঙ্গা ইউনিয়নের ঐতিহ্য। এটি সংরক্ষণ ও দর্শনীয় স্থান হিসাবে প্রস্তুত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে ঐ এলাকার জনগন।

 

রাজু

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার