
যশোর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে মারপিটের শিকার হয়ে কেশবপুরের সাংবাদিক সোহেল পারভেজ হাসপাতালে বিছনায় কাতরাচ্ছেন। দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পত্রিকায় প্রকাশ করার অপরাধে ওই সাংবাদিককে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। রবিবার এ ঘটনায় সাংবাদিকের বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি আহত সাংবাদিক সোহেল পারভেজ জানান, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামে বসবাসকারী সোহেল পারভেজ দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার কেশবপুর প্রতিনিধি এবং কেশবপুর থেকে প্রকাশিত দেশ জনতার কথা পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
তিনি জানান, এলাকার বিভিন্ন অনিয়ম, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করার অপরাধে শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার বুড়ুলিয়া বাঁধের উপর বসে চা পান করার সময় ওই এলাকার ইমরান গাজী, তৈয়েবুর শেখ, শাহিন বিশ্বাস, সাদ্দাম বিশ্বাস ও ফারুক সরদার তার উপর চড়াও হয়। তিনি কেনো বিভিন্ন সময়ে খবর লেখেন এবং এলাকার একটি সালিশের বিষয়ে কেনো হস্তক্ষেপ করেছেন। এই কথার জবাব জানতে চেয়ে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এসময় লাঠি ও রড দিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়ছে। মারপিটের এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক রাস্তার উপরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে টেনে হিচড়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় এবং আরও এক দফা মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও ফুলে গেছে। বুকের বাম পাশে আঘাত লেগে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। অভিযোগে ও এলাকাবাসীর কাছে জানা গেছে, মারপিট করে ফেলে রেখে যাওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে হাসপাতালে যাবার পথে ওই সন্ত্রাসীরা আবারও বাধা দেয়। তাকে চিকিৎসা করতে দেবে না বলে তারা এ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখে।
সোহেল পারভেজ জানান, চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীরা এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে। তারা খুব দুর্ধর্ষ প্রকৃতির মানুষ। তিনি বিভিন্ন সময় অপকর্মের খবর লিখলে তারা তাকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সোহেল পারভেজের বাবা শাহাদাত হোসেন রবিবার পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার দায়িত্বরত দারোগা উপপরিদর্শক মাসুম হোসেন জানান, সাংবাদিক সোহেল পারভেজের বাবার দেওয়া একটি অভিযোগ তারা পেয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানায় আসলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজু