ঢাকার কেরানীগঞ্জের মাঠে-মাঠে চোখ ধাঁধানো হলুদ সরিষা ফুলের সমাহার। নয়নাভিরাম চিরচেনা অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য যে কারও মনে দোলা দেয়। চারদিকে হলুদ গালিচা বিছিয়ে যেন অপরুপ সাজে সেজেছে পল্লীর প্রকৃতি। এ দৃশ্য দেখতে বাড়ছে প্রকৃতি প্রেমিকদের আনাগোনা। শীতের সকালে কুয়াশার চাদরে ঘেরা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠ যেন হলুদ নদী। আজ (০৮ জানুয়ারী ) বুধবার সকালে কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠ জুড়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নানা বয়সী নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমীরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউবা আবার মুঠোফোনে ব্যস্ত চিত্রধারণে।
কৃষক মাজহার বলেন, সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা করছি। এ বছর অনেকেই আগাম সরিষা অবাদ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করা যায়। কেরানীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা প্রতি নিয়ত আমাদের খোজ খবর নিয়ে থাকে। তাদের সহযোগিতায় আমাদের এবারের সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আসা করছি।
স্থানীয় সরিষা চাষী মোবারক মিয়া জানান, দেশে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলছে, তাই তেলের চাহিদা মেটাতে আমি সরিষার চাষ করছি। প্রতি বছর বাড়ির জন্য ১৫ শতক সরিষা চাষ করতাম। কিন্তু মানুষের চাহিদা পূরন করতে আরও ২৫ শতক বেশি সরিষার চাষ করেছি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন বলেন, চলতি মৌসুমে কেরানীগঞ্জে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে আমরা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে কৃষকদের কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে কেরানীগঞ্জে সরিষা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন।
আফরোজা
