ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মানবতার পক্ষে সাইকেল যাত্রায় ভারতের দুই শিক্ষক বাগেরহাটে

বাবুল সরদার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মানবতার পক্ষে সাইকেল যাত্রায় ভারতের দুই শিক্ষক বাগেরহাটে

সাইকেল যাত্রায় বাগেরহাটে ভারতের দুই শিক্ষক অনিরুদ্ধ-রিতম

‘মানবিক মানুষ হওয়া জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মানুষ এবং প্রকৃতি যার শিক্ষক, আর রাস্তা শিক্ষালয়। এজন্য মানুষ দুনিয়ার আসে ঘর বাঁধতে যেমন, তেমনই ঘর ছাড়তেও। অমোঘ যে ঘরছাড়ার ডাকে আমাদের সবাইকেই সাড়া দিতে হবে একদিন, এ বুঝি তারই এক মহড়া। সত্যিই তো, ঘরের বাঁধন ছেড়ে পথে না বেরোলে, আপন-পরের ভেদ ঘুচবে কীভাবে? কীভাবেই বা জানব, আমার চেনা দুনিয়ার পাশে আরও অনেক অচেনা আধা-চেনা দুনিয়া আছে কি না? সেই খোঁজেই আমরা দুজন বেরিয়ে পড়েছি পথে।

না, কোনো গাড়ি বাসে, উড়োজাহাজে, এমনকি মোটরবাইকে করেও নয়। আমাদের বাহন সাইকেল। আমরা সাইকেলে চেপে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় (বাংলাদেশে) এসেছি  ‘মানবতার পক্ষে সাইকেল যাত্রা’ সেøাগানকে ধারণ করে।’ 
কথাগুলো বলছিলেন, ভারত থেকে বাইসাইকেলে আসা শিক্ষক অনিরুদ্ধ ঘোষ এবং শিক্ষক রিতম ভান্ডারী। মঙ্গলবার ভরদুপুরে তপ্ত রোদের মধ্যে বাগেরহাট শহরের শালতলা মোড়ে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামের সামনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হয় তাদের। সাইকেলের সামনে লেখা ছিল, ‘মানবতার পক্ষে সাইকেল যাত্রা।’ এর অগে তারা সরকারি পি সি কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেছেন।  
অনিরুদ্ধ বলেন, মানুষের পুরনো বন্ধু চাকা, আর চাকার আরেক নাম সাইকেল। চাপলেই মনে হয়, পায়ে যেন চাকা গজিয়েছে। সাইকেল আমার পুরনো বন্ধু, আমি দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশ সাইকেলেই ঘুরেছি। আমি অনিরুদ্ধ, পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের কাছে আমার বাড়ি। এবারের সাইকেল যাত্রায় আমার সফরসঙ্গী রিতমদা, রিতম ভা-ারী। আমরা দুজনেই শিক্ষক।

পড়াই পশ্চিমবাংলার মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি দুটি স্কুলে, যথাক্রমে গাইডেন্স একাডেমি ও গাইডেন্স ফাউন্ডেশন। যে মানবতার শিক্ষা আমরা আমাদের স্কুলের শিশুদের দিয়ে থাকি, আজ সেই শিক্ষাই আমরা নিজেরা ছাত্র হয়ে শিখতে চাই পথের মাঝে, মানুষের কাছে। শেখার পরিসরটা স্কুলের চার দেওয়ালের বাইরে ছড়িয়ে দিতে চাই। ঘুরতে ঘুরতে আমরা চাই মানুষের সাহচর্য, চাই মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে। মানবিক বোধের শিক্ষা নিতে।’

×