ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশী থ্রি পিস পছন্দের শীর্ষে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ২২:১১, ২৯ মার্চ ২০২৪

দেশী থ্রি পিস পছন্দের শীর্ষে

.

ঈদের পোশাকে আধুনিকতার ভিড়েও থ্রি পিসের চাহিদা নারীর কাছে এখনো বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, পশ্চিমা ধাঁচের বাহারি পোশাক মূলত সমাজের উঁচুতলার নির্দিষ্ট ক্রেতাদের টার্গেট করেই বাজারে আনা হয়। তবে সমাজের বেশিরভাগ নারীই প্রচলিত থ্রি পিস পরতে আগ্রহী। আর কারণেই বরাবরের মতো বিক্রেতাদের কাছে সাধারণ দেশী  থ্রি পিসই হট আইটেম হিসেবে স্থান পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েদের পোশাক কেনার আগ্রহের তালিকায় রয়েছে দেশী  ফ্যাশন হাউজের সুতি থ্রি পিস। এসব পোশাক এক থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছর মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের টু পিস, থ্রি পিস, ফোর পিস সালোয়ার-কামিজসহ বুটিক থ্রি পিস জর্জেট ঘেরওয়ালা ড্রেস বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গরমের বিষয় মাথায় রেখে লিনেন সুতি কাপড়ের মিশ্রণে  তৈরি থ্রি পিস এরই মধ্যে বেশ নজর কেড়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, নতুনত্ব সময়োপযোগী হওয়ায় এবার তরুণীদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে এসব পোশাক। যশোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি, এইচ এমএম রোড, মুজিব সড়ক, কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট, পৌর হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানের বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, এবারের কালেকশনের মধ্যে দেশী  সুতির থ্রি পিসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তরুণীসহ সবধরনের নারী পোশাক কিনছেন আগ্রহ ভরে। বাজারে বিভিন্ন বুটিকস হাউজের থ্রি পিস ১৫শথেকে হাজার টাকা, লোন ১৫শথেকে হাজার টাকাজামদানি থেকে হাজার টাকা, কাতান জর্জেট থেকে হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সকল পোশাকের মধ্যে মাঝামাঝি দামের পোশাক বিক্রি বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। শহরের গোবিন্দ স্টোরের প্রোপাইটর অসিত কুমার সাহা বলেন, এবছর দেশী সূতি থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি। দেখা ফ্যাশনের প্রোপ্রাইটর মান্না দে লিটু বলেন, থ্রি পিসের মধ্যে মাঝামাঝি দামের পোশাকের বিক্রি বেশি। আশা করছি / দিনের মধ্যে বিক্রি বাড়তে শুরু করবে।

যশোর কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মঈনউদ্দীন টেনিয়া বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়তে পারে। আর এখন যা বিক্রি হচ্ছে সেটা সামগ্রিকভাবে ভালো। বাজারে বিভিন্ন বয়সের ক্রেতাদের ভিড়। এদের মধ্যে কম বয়সী তরুণীর সংখ্যাই বেশি।

মালিহা নামের এক ক্রেতা বলেন, শাড়ির চেয়ে থ্রি পিসের দাম কম। সেই সঙ্গে পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করায় থ্রি পিস পছন্দ করছি। চলতি বছর যশোরের ব্যবসায়ীরা ভালো ডিজাইন উন্নতমানের কাজের দেশীয় থ্রি পিসের কালেকশন নিয়ে এসেছে। আমাদের কাছেও অনেক ভালো মনে হচ্ছে।

আফরোজা খাতুন নামের আরেক নারী বলেন, দেশী  ফ্যাশন হাউজের থ্রি পিস এক কথায় অসাধারণ। বছর প্রস্তুতকারকরা নানা ডিজাইনের কাজ করায় আরও বেশি অসাধারণ লাগছে।

চট্টগ্রামে ঈদভিড় এখন উচ্চবিত্তের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস চলছে রমজানের তৃতীয় সপ্তাহ, ঘনিয়ে আসছে ঈদ। জমে উঠেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রায় সব শপিং মল বিপণিকেন্দ্র। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে শপিং মল। প্রতিদিন দুপুর থেকে শুরু হয় কেনাকাটা। মার্কেটগুলো জমে উঠতে শুরু করলেও এখন শপিংয়ে যাচ্ছেন উচ্চবিত্তরা। আগামী মাসের শুরুতে নি¤œ মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপস্থিতি বাড়লে আরও জমজমাট বেচাকেনা হবে, আশাবাদ ব্যবসায়ীদের। ভিড়ের চাপ এড়াতে এখন অপেক্ষাকৃত উচ্চ আয়ের লোকজন  কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন স্বজন সহকর্মীদের জন্য উপহার।

সপ্তাহখানেক আগে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে  দেখাদেখি এবং দর যাচাইসেখানে এখন শুরু হয়ে  গেছে বিক্রি। সপ্তাহের  শেষ নাগাদ ঈদ বাজার জমজমাট রূপ ধারণ করবে, এমনই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, ৬০ বর্গমাইলের নগরীতে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। ফলে বিশাল অঙ্কের ঈদ  কেনাকাটার ব্যবসা নগরীতে।

এক সময়কার ঈদবাজার ছিল নিউমার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, টেরিবাজার জিইসিকেন্দ্রিক। কিন্তু এখন সে বাজার ছড়িয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। অসংখ্য মার্কেট গড়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ মানুষকে এখন আর দূর-দূরান্তে  যেতে হয় না। হাতের কাছেই মার্কেটকেনাকাটা  শেষ করা যাচ্ছে নিকটবর্তী বিপণিকেন্দ্র  থেকে।

এখন প্রতিটি মার্কেটই ঈদ সামনে  রেখে উৎসবমুখর। শাড়ি, থ্রি পিস, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, পাজামা, জুতা, স্যান্ডেলসহ সব ধরনের  পোশাকপরিচ্ছদ বিক্রি শুরু হয়ে  গেছে। দুপুর থেকে বেচাকেনা শুরু হলেও ইফতারের পর  যেন দম  ফেলার অবস্থা  নেই ব্যবসায়ীদের।

সাটুরিয়ায় ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম বিপণিবিতানগুলো

নিজস্ব সংবাদদাতা সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বিপণিবিতানগুলো ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। পছন্দের পোশাকটি কিনতে রোজা রেখে গরমকে উপেক্ষা করে কেনাকাটায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদেরও যেন দম ফেলার সময় নেই।

নগরীর বড় বড় বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতে বসা দোকানিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফুটপাতের এসকল দোকানে নেই মাথার উপর ফ্যান, নেই ঝলমলে আলোকসজ্জা,তবে দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা ফুটপাতের এসব অস্থায়ী দোকান।

শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের পদচারণা কেনাকাটায় জমে উঠেছে বিপণিবিতানগুলো। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে বিক্রেতাদেরও যেন পোশাক সংগ্রহের কমতি নেই। বাহারি ডিজাইনের পোশাকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বিতানগুলো। এবারের ঈদে মেয়েদের আকর্ষণীয় পোশাকের তালিকায় রয়েছে নায়রা, অরগাঞ্জা, লেহেঙ্গা, স্কাট ফ্লোরটার্চ আর ছেলেদের বিভিন্ন মডেলের জিন্স প্যান্ট, টি শার্ট, ফতুয়া, সুতি পাঞ্জাবি। পাশাপাশি বাজারে বুটিকসের থ্রী পিস, কাতান, সিল্ক, তাঁতের শাড়ি, জামদানি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। পুরুষেরা পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচ করে কিনছেন জুতা-স্যান্ডেল। পাশাপাশি মেয়েরা ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচিং করে কিনছেন জুতা-গহনাসহ বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস্।

সাটুরিয়া বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী জুয়েল আহমেদ বলেন, বছর ঈদ উপলক্ষে পোশাকের কালার ডিজাইনের ভিন্নতার কথা মাথায় রেখে নতুন ধরনের কালেকশন এসেছে বাজারে। ছোটদের জন্যও রয়েছে নানা ধরনের পোশাক। তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বছর সব ধরনের পোশাকের দামও বেড়েছে।

মোরেলগঞ্জে নজর কেড়েছে ভারতীয় পদ্মজা ড্রেস

নিজস্ব সংবাদদতা, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মোরেলগঞ্জে কাপড়ের বাজার জমজমাট। পাদুকা দোকান, কসমেটিক্স, প্রসাধনী, শিট কাপড়   গার্মেন্টস দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সকলের নজর কেড়ে ভাইরাল এখন ভারতীয় পদ্মজা ড্রেস। বিগত বছরগুলোর চেয়ে বছরে প্রতিটি ড্রেসের দাম বেড়েছে ৪শথেকে ৫শটাকা। শিশুদের পোশাকের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে বাজার মনিটরিংয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে মোবাইল টিম। পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মনিরুল হক তালুকদার, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুদ্দিন বাজার পরিদর্শন করেছেন।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছেউপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভার  প্রাণ কেন্দ্রে মোরেলগঞ্জ বাজার। সপ্তাহে দুদিন শুক্রবার সোমবার হাটের দিন। ছাড়াও প্রতিনিয়ত দোকানগুলোতে দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতাদের থাকছে ভিড়। শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের কাপুড়িয়া পট্রি সড়কে ১৮ রমজান ঈদকে সামনে রেখে গার্মেন্টস, কাপড়ের দোকান পাদুকা দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। 

কথা হয় মিনা গার্মেন্টসের মালিক তরিকুল ইসলাম মিনা, শাহরিয়া মিনা, আইরিন গার্মেন্টসের মো. মনিরুল হাসান, দেবনাথ বস্ত্রালয়ের অসিম দেবনাথ, ভূইয়াদের কাপড়ের দোকান সুবল ভৌমিক, ঠাকুরের শিট কাপড়ের দোকান হরেকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মোহাম্মাদিয়া সু স্টোরের জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন বিপণন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের মালিক  ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশী সুতি তাঁত, সিল্ক, টাঙ্গাইল, ডিজিটাল প্রিন্ট দেশীয় কাপড়ের চাহিদা বেশি। দাম গতবারের মতোই রয়েছে যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।  বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সামসুদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বাজারের ব্যবসায়ীদের ক্রয় বিক্রয়ের সুবিধার্থে আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা হয়েছে।  সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম তারেক সুলতান বলেন, ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা ব্যবসায়ী ভোক্তাদের   সুবিধার্থে বাজার কমিটি নিয়ে ইতোমধ্যে সভা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় সাময়িক সমস্যা হলেও সামনে যাতে করে যানজট কমানো যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

মাগুরায় ঈদবাজার জমজমাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ঈদবাজার জমে উঠছে। মার্কেট, দোকান বাজারে ঈদের বেচাকেনা চলছে। সকাল থেকেই ক্রেতাদের আগমন দেখা যাচ্ছে। শহরে যানজট লেগেই থাকছে। ভিড় হচ্ছে প্রচুর। শহরের মার্কেট, বাজার এবং বিভিন্ন দোকানে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। মাগুরা শহর জমজমাট আকার ধারণ করেছে। শহরের বেবী প্লাজা, নূর জাহান প্লাজা, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, বকসি মার্কেট, সুপার মার্কেট, জুতা পট্টি, টুনাটুনি শর্পিংমল, হাজীপুর মার্কেট প্রভৃতি মার্কেট দোকান গুলিতে বাজার করতে দেখা যাচ্ছে। গার্মেন্টস শাড়ি কাপড়ের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় হচ্ছে। জুতার দোকানগুলোতে ভালো ভিড় হচ্ছে। নানা ডিজাইয়ের জুতা খুঁজছেন তরুণীরা। ঈদ উপলক্ষে জুতার দোকানগুলো নতুন নতুন কালেকশনের  এনেছেন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে। 

 

 

 

 

×