ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মৃত্যু ঝুঁকিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ 

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৬ নভেম্বর ২০২৩; আপডেট: ২১:৪০, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মৃত্যু ঝুঁকিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা!

ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরমদ্দিন ইউনিয়নের বাদলপাড়া স্কুল ও কলেজের ভবনে ৩টি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকসহ কলেজ অধ্যক্ষর কার্যালয় ও শিক্ষকদের দুটি অফিস রুম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। যেকোনো সময় স্কুল চলাকালে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ফলে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা অনুরাগী ইসহাক হাওলাদার। বিদ্যালয়টি অনেক প্রতিকূলতার মাঝে ১৯৮৬ সালে জাতীয়করণের ঘোষণা হয়। কলেজটি জাতীয়করণ হয় ২০০৪ সালে। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এ স্কুলেটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে একটি ভবন নির্মাণ হয়। যে ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। আর সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার আবেদন করেছেন অনেক আগেই। 

বাদলপাড়া স্কুল ও কলেজের নামে ২০১৬ সালে শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে একটি ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদার মিরন। অথচ ভবনটি ৮ বছর পার হলেও অজানা কারণেই ঠিকাদার এখনো নির্মাণ কাজ শেষ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যেই পাঠ দান করাচ্ছে শিক্ষকেরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির পাঠদান কক্ষে এক পাশে শিক্ষার্থীরা চেয়ার টেবিলে বসা তাদের পাশেই পড়ে রয়েছে ছাদের খসে পরা পলেস্তারার স্তুপ। অনেক শিক্ষার্থীরা খসে পড়া পলেস্তারার উপরেই বসে ক্লাস নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিলগুলো খসে পড়া পলেস্তারার বালুতে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জনকণ্ঠকে জানান, আমাদের ক্লাসরুমের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ভয়ে ভয়ে সব সময় ক্লাস করি, প্রতিদিন ক্লাস চলাকালে কমবেশি পলেস্তারা খসে পড়ছে। খসে পড়া পলেস্তারা আমাদের গায়ে মাথায় পড়ে অনেকে আহত হয়েছে। এখনো যদি এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা না হয়, যেকোনো সময় ভবনটি ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে গিয়ে আমাদেরকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া, শিক্ষকদের বসার দুটি রুম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা মাঝে মাঝে বাহিরে গিয়ে বসি।

উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা তপন কুমার জানান, বিদ্যালয়টির ভবন খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। এতে শিক্ষার্থীরা সবসময় আতঙ্কিত থাকেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি।

এম হাসান

×