
পাটখড়ি, ছবি: জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে চরাঞ্চল গুলোতে নায্যমূল্যে পাট ও পাটখড়ি বিক্রি করায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। একাধারে আগের তুলনায় পাটের দাম অনেকটা বেশি। অপরদিকে বাজারে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকায় তা চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। পাট উৎপাদনের জলাশয়ে জাগ দিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে নেয়ার পর উপজাত সাদা রঙ্গের কাটি-ই পাটখড়ি। গ্রামে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এক সময়ের অন্যতম প্রধান জ্বালানি ছিলো পাটখড়ি। জ্বালানি ছাড়াও গৃহস্থালীর নানান কাজে ব্যবহার করতো সাধারণ মানুষ। দিন পরিবর্তনের প্রতিযোগিতায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ এখন রান্না সহ জ্বালানির বিকল্প হিসেবে গ্যাস, কয়লা, পাটখড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করছে। তাছাড়াও পাট পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকে পড়ছে কৃষক। পাট চাষ বেশি হওয়ার ফলে পাটখড়ির ও যোগান বেড়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে সরকারের পাট অধিদপ্তর পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারসহ নানান ভাবে উৎসাহিত করছেন। ভালো বীজ সরবরাহ ও পাটের বাজার মূল্য বৃদ্ধি অপরদিকে চাহিদা থাকায় পাটখড়ি চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা।
এতকাল ওই পাটখড়ি কুড়েঘরের বেরা, চালা নির্মাণে ব্যবহার হতো। গ্রামাঞ্চলের মাটির চুলায় রান্নায় জ্বালানি খড়ির সাথে এই পাটখড়ি থাকতো। রান্নার জ্বালানি হিসেবে গ্রামের পাশাপাশি শহরের রয়েছে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের রামরামপুর গ্রামের কৃষক সোলায়মান আলী জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করে প্রায় ২০ মণ পাট পেয়েছি। যা প্রতিমণ আড়াই হাজার টাকা ও পাটখড়ি প্রতি বোঝা ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
অনন্তপুর বাজারের পাটখড়ি ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, চরাঞ্চল হতে পাট চাষীদের কাছ থেকে পাইকারি হিসেবে পাটখড়ি কিনে এনে বাজারে বিক্রি করি। প্রতি বোঝা পাটখড়ি ১শ থেকে ১শ ২০ টাকা বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন:প্লেনের বাথরুমে পাইলটের মৃত্যু, জরুরি অবতরণ
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান ,এবারে ২ হাজার ৮শ ৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও অর্জিত হয়েছে ২হাজার ৬শ ৭০ হেক্টর। প্রণোদনা হিসেবে ১ হাজার ৫শ ৫০ জন চাষীকে বিঘা প্রতি ২কেজি করে বীজ দেয়া হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। দাম ও ভালো।
টিএস