ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমের টানে এসে ইসলাম গ্রহণ করে থাই তরুণীর বিয়ে

প্রকাশিত: ১৮:১১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২; আপডেট: ২০:৩২, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

প্রেমের টানে এসে ইসলাম গ্রহণ করে থাই তরুণীর বিয়ে

থাই তরুণী তানিদা ও মহেশখালীর ওচমান গণি

প্রেমের টানে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে এবার কক্সবাজারের মহেশখালীর তরুণ ওচমান গণিকে (২২) বিয়ে করেছেন থাইল্যান্ডের তরুণী তানিদার (৩৭)।

গত ১২ ডিসেম্বর ওচমানের বাড়িতেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ওচমান গণি মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে।

জানা জায়, ৫ বছর আগে থাই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় ওচমানের। মেসেঞ্জারে যোগাযোগের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ ডিসেম্বর থাই তরুণী তানিদার বাংলাদেশে আসলে  ১২ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওচমান গণির বাড়িতেই আছেন তানিদা। 

ওচমান জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে মহেশখালীতে ওচমানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে ওচমানের বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসেন থাই তরুণী, তখন সাতদিন থাকেন। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তার নাম রাখা হয় খতিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় তাদের।

ওচমানের বাবা বলেন, তানিদা আমাদের ভাষা বুঝেনা। তবে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওচমান গণি চতুর্থ। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুরগির ফার্মে চাকরি নেন ওচমান। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। চাকরি নেন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওই চাকরি চলে গেলে ৯ মাস ধরে বেকার এই তরুণ।

ওচমান বলেন, তানিদা থাইল্যান্ডে একটি চাকরি করেন। সে এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তানিদা আমার জন্য ভিসার আবেদন করবে। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবো। এর ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবো।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×